1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

অন্তবর্তী সরকারের ৩ মাস: প্রকল্পের ব্যয় সংকোচনে কৃচ্ছ্রতা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

#অপয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়েছে সরকার

#সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র কমিটি গঠন

#পাচারের অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স টিম পুর্নগঠন

# ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা আনা জরুরি’।-আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পূরণ হয়েছে। দেশের এমন চলমান সংকটে সংকারের মূল লক্ষ্য ব্যয় সংকোচন করা । যার ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গতানুগতিক প্রকল্প অনুমোদন দেয়নি বর্তমান সরকার। সঠিক সম্ভব্যতা যাচাই, যৌক্তিকতার ভিত্তিতে জনবান্ধব ও জনকল্যাণের সঙ্গে জড়িত এসব প্রকল্পগুলোকে প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসে দুইটি একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মেয়াদবৃদ্ধিসহ ৬৫ হাজার ৫১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, অনুমোদন পাওয়া এসব প্রকল্পে সরকার অর্থায়ন (জিওবি) করবে ৮ হাজার ৭১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ পাওয়া যাবে ১৬ হাজার ১১২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ৮১২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের প্রেস উইং থেকে জানা গেছে, অন্তবর্তী সরকারের প্রথম একনেকে  ১ হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক অনুষ্ঠিত হয়।  এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে ৯৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৮ কোটি ১৬ লাখ পাওয়া যাবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।

অনুমোদিত চার প্রকল্প হলো-শিল্প ও শক্তি বিভাগের বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ২টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং ২টি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দরপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্প, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত) তথ্য আপা নামক প্রকল্প এবং কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প।

কমিশনের প্রেস উইং থেকে আরো জানা গেছে, একনেকের দ্বিতীয় বৈঠকে মেয়াদ বৃদ্ধিসহ ৬৪ হাজার ২৯৬ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রকল্পের শুধু মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। চারটি প্রকল্পে নতুন করে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

এদিকে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একনেকে ৭টি অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প হলো-কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউস নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ভুয়াপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক (জেড-৪৮০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বৈরাগীপুল (বরিশাল)-টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক (জেড-৮-৯১০) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চর কাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশ ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর(জেড-২৮২২)সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার সেতু (রাজাপুর সেতু) নির্মাণ ও ৭.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।

এছাড়া শিল্প ও শক্তি বিভাগের দুটি প্রকল্প একনেকে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো-প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর সিক্স এনওসিএস ডিভিশন আন্ডার ডিপিডিসি (বিশেষ সংশোধিত) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।

অন্যদিকে অন্তবর্তী সরকার অপয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পেও অর্থছাড় কমিয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিনমাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে ধীর গতি। জুলাই মাসজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলা ব্লকেড ও অসহযোগ আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে এডিপিতে।

আইএমইডির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এডিপিতে অর্থ ব্যয় হয়েছে ১৩ হাজার ২১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা মোট এডিপি বরাদ্দের মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে সরকারের এডিপি বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর আগে কোনো অর্থবছরে জুলাই-আগস্ট মাসে এত কম অর্থ ব্যয় হয়নি।

চলতি অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন হার এডিপির ইতিহাসের সর্বনিম্নের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। আইএমইডির ওয়েবসাইটে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত জুলাই-সেপ্টেম্বরের তথ্য পাওয়া যায়। সেখানো কোনো অর্থবছরই এডিপি বাস্তবায়ন হার সাড়ে ৬ শতাংশের কম ছিল না। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) বাস্তবায়ন হার ছিল ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

আইএমইডির কর্মকর্তারা জানান, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত প্রস্তুতিমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ কারণে অর্থবছরের শুরুতে এডিপি বাস্তবায়ন হার কম থাকে।
আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, নতুন সরকার সব প্রকল্প পর্যালোচনা করছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর অনেক অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ কারণে এই মুহূর্তে অনেক প্রকল্পে অর্থছাড়ও কম হচ্ছে।

সম্প্রতি একনেক সভা শেষে এক বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প চিহ্নিত করে ব্যয় সংকোচন করা। এরই মধ্যে অনেক প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলোর সুফল মিলছে না।

তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোতে শৃঙ্খলা নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। এসব প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। অর্থ প্রবাহ বাড়াতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর যদি বিনিয়োগ কম হয় তাহলে প্রকল্প ধীরগতিতে এগোলে অর্থ প্রবাহ বাড়বে না। সুতরাং অর্থ প্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ দ্রুতই শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে।

এদিকে জনগণের মতামত না নিয়ে আর কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রকাশের পরে জনগণের মতামত নিতে হবে। এরপর জনগণের মতামত পর্যালোচনা করে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাতে হবে পরিকল্পনা কমিশনে। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এমন আদেশ জারি করে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছে পাঠিয়েছে।
এই আদেশের অর্থ হলো, কোনো প্রকল্প প্রস্তাব সম্পর্কে যদি জনগণ নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন, তাহলে সেটি অনুমোদন করবে না পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

এর আগে এত দিন যেকোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাত। তখন মন্ত্রণালয় ওই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করত। ব্যয় ৫০ কোটি টাকার কম হলে পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই প্রকল্প পাস করতেন। আর খরচ ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে তা প্রধানমন্ত্রীর (বর্তমানে এ দায়িত্বে আছেন প্রধান উপদেষ্টা) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস করা হতো।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে শুরু করে বর্তমান দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটি প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। কমিটি গঠনের পর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম সরকারের হাতে তুলে দেবে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে শ্বেতপত্র কমিটি।

সম্প্রতি এক বৈঠকে কমটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘নভেম্বরেই মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে শ্বেতপত্র কমিটির কাযক্রম তুলে দেওয়া হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এছাড়া দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আহসান এইচ মনসুরকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স টিম পুর্নগঠন করা হয়। এর আগে বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণে ১২ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে অন্তর্র্বতী সরকার। যার সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কেএএস মুর্শিদকে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। টার্স্কফোর্স কমিটি গঠনের পর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।

এদিকে অন্তবর্তী সরকারের প্রকল্পে অর্থছাড় ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, গতানুগতিকভাবে প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে যা সরকারের ভালো উদ্যোগ। আগেরর সরকার প্রকল্পের সঠিক সম্ভাব্যতা এবং ব্যয়ের খাতগুলো বিবেচনা না করেই অনুমোদন দিয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পই জনগণের কোনো কাজে আসেনি।

তিনি আরো বলেন, এমন কোনো প্রকল্প খোঁজে পাওয়া যাবে না যার মেয়াদ ও খরচ বাড়ানো হয়নি। পূর্বের প্রকল্পগুলো পূর্নমূলায়নে এনে সরকার খরচ কমিয়েছে যা প্রশংসনীয়। এসব প্রকল্পে টাকা শুধু অপচয়ই হতো। প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা আনা জরুরি বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট