1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবনে দুর্ভোগ

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২১৮ বার পড়া হয়েছে

রেনেসাঁস নিউজ ডেস্ক : ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের মানুষের জনজীবন। ঝিরিঝিরি কুয়াশায় রাস্তাঘাট ভিজে একাকার। ফলে জেলাগুলোতে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তীব্র শীতে রাজশাহী এবং কুড়িগ্রামে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। মিলছে না সূর্যের দেখা। ফলে কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। এদিকে শীত নিবারণে জেলার বাজারগুলোতে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। এছাড়া প্রচন্ড শীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। খবর ওয়েবসাইটের।

উত্তরাঞ্চলের ওপারে ভারতের উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং সিকিমে বৃষ্টিপাতের কারণে তুষারপাত পড়ছে। যার প্রভাব দুদিন ধরে হারে হারে টের পাচ্ছে নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। ওই হিম ঠান্ডা বাতাস মৃদু শৈত্য প্রবাহ হয়েই ঢুকে পড়ছে। বছরের শেষ বেলায় শীতের কামড় ও কনকনে ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই নতুন বছরের আগমন ঘটবে এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

তিস্তা নদীর উপজেলা ডিমলায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ও সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সর্ব উত্তরের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, তাপমাত্রা কমার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন থেকেই বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বইতে থাকে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এদিকে কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। জেলা সদরের ইটাখোলা গ্রামের হেমন্ত রায় বলেন কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। যেন বরফের মতো লাগে। শরীরে মৌমাছির হুল ফোটানোর মতো অবস্থা।

রাজশাহী : একদিনের ব্যবধানে সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও রাজশাহীতে কমেনি শীতের তীব্রতা। রাজশাহীর আকাশে সকাল থেকে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতের তীব্রতা। প্রচন্ড শীতে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। শীত নিবারণে জেলার বাজারগুলোতে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা।বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ শুরু হলেও শুক্রবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার ভোর ৬ টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাজশাহীর আশেপাশের জেলায় এখনও শৈত্য প্র্রবাহ বিরাজমান। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন আগে বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম : সর্ব উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কন্কনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে রাস্তা-ঘাটসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা। রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলায় ৪শ‘ ৫টি চর-দ্বীপচরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস করে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়ছে এসব মানুষ। শীতের কারণে অনেকে কাজে যেতে পারছে না।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট