স্টাফ রিপোর্টার : উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে আরও দুটি কার্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। নাগরিক সেবা বিকেন্দ্রীকরণে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরের দিকে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনীতে এই তথ্য জানান মেয়র।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক নিয়মাবলী, শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচারজনিত প্রাথমিক ধারণা প্রণয়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন।
মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী সিটির আয়তন বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাগরিক সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করে নগরীর উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে দুটি পৃথক আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে নগরীর প্রতিটি রাস্তা চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যানজট নিরসনে নগরীতে ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণে নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশে সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে সর্বপ্রথম টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, রাসিকের সেবার মান বৃদ্ধি করতে শুন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা নিয়োগ পেয়েছেন আশা করি নিজেদের যোগ্যতা ও মেধার প্রমাণ রাখবেন, যথাযথভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।
রাজশাহীতে শিল্পায়ন তেমন হয়নি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, শিল্পায়নের বিকল্প হিসেবে রাজশাহীতে শিক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। নগরীতে আরও নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ইতোমধ্যে দুটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে।
হলিক্রস বিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করেছে। নটরডেম কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। রাজশাহী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হবে। রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবার সাফল্য তুলে ধরে সিটি মেয়র বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের রয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। ইপিআই স্বাস্থ্যসেবায় রাসিক পর পর দশবার ১ম স্থান অর্জন করেছে। বায়ুদূষণ রোধ, স্বাস্থ্যকর পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিবেশ পদক অর্জন করেছে রাসিক।
এত সব অর্জনের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে রাজশাহী ভ্রমণ করছে। সবুজ পরিচ্ছন্ন মহানগরী রাজশাহীতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসে।
কর্মশালায় রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, রাসিকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নুর-ই-সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply