আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে শুক্রবার লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের সুরাটের দায়রা আদালত। আর দুই বছর দণ্ড পাওয়ায় পার্লামেন্টের সদস্যপদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
রাহুল গান্ধী পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারানোর ব্যাপারে লোকসভা দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, শ্রী রাহুল গান্ধী, লোকসভার কেরালার ওয়ানাড আসন থেকে, দণ্ড পাওয়ার দিন ২৩ মার্চ ২০২৩ সাল থেকে, ভারতীয় সংবিধানের ১৯৫২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১০২(১) ৮ ধারায় অযোগ্য হয়ে গেছেন।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা আছে, যখন লোকসভার কোনো সদস্য কোনো অপরাধে দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য দণ্ড পান তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। এরপর লোকসভা দপ্তর ঘোষণা দিয়েছে, ‘রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামের শেষ অংশ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন রাহুল। এরপর তার বিরুদ্ধে গুজরাটের সুরাটে মানহানির মামলা করেন বিজেপি নেতা ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুনেশ মোদি। ২০১৯ সালে কর্ণাটকে লোকসভা নির্বাচনের একটি র্যালিতে মোদিকে নিয়ে ওই কটূক্তি করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরের নাম মোদি হয়?’
মূলত ভারতের পলাতক আসামী নিরব মোদি এবং ললিত মোদির কথার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিলের পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। তারা দাবি করেছে, কয়েকদিন ধরে রাহুল লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ধনকুবের গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। এ কারণে ‘ষড়যন্ত্র’ করে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল দণ্ড দেওয়ার পরই রাহুলকে জামিন দেওয়া হয়। এছাড়া আপিলের সুযোগ দিতে ৩০ দিনের জন্য এ দণ্ড স্থগিত করা হয়। এখন এই রায় যদি উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে তাহলে আগামী ৮ বছর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না রাহুল গান্ধী।
Leave a Reply