1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করলে রাশিয়াও একই পথে হাঁটবে

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ইউক্রেন যদি বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে, তবে রাশিয়াও একই পথে হাঁটবে। এই হুমকি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ক্লাস্টার বোমার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করা হবে। খবর আলজাজিরার।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি রবিবার প্রচার করা হয়েছে। প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে, আমরাও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এগুলো ব্যবহারের অধিকার রাখি। ইউক্রেনে পাঠানো গোলাবারুদের মজুত ফুরিয়ে আসছে উল্লেখ করে সম্প্রতি দেশটিকে সহায়তায় ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এরই অংশ হিসেবে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে এই বোমার চালান হাতেও পেয়েছে জেলেনস্কির বাহিনী। বিতর্কিত বোমা পাঠানোয় ব্যাপক ক্ষুব্ধ ক্রেমলিন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও বাইডেনের এমন পদক্ষেপে খুশি হতে পারেনি। এই বোমা সরবরাহের বিপক্ষে তারা। ক্লাস্টার বোমা মূলত তার ভেতর অসংখ্য ছোট ছোট বোমা ধারণ করে রাখে। ছোড়ার পর বিস্তৃত জায়গাজুড়ে এই ছোট বোমাগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ছোট বোমাগুলোর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ তাৎক্ষণিকভাবে না ফেটে অনেক দিন ধরে মাটিতে অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে। পরে হুটহাট বিস্ফোরিত হয়। এসব কারণে ক্লাস্টার বোমায় বেসামরিক হতাহতের শঙ্কা বেশি থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, পাল্টা আক্রমণ চলাকালে ইউক্রেনের কাছে থাকা গোলা ফুরিয়ে আসায় অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য তারা এই ক্লাস্টার বোমা কিয়েভকে দিচ্ছে। কিয়েভ বলছে, তারা হরেদরে এই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করবে না, কেবল যে সব স্থানে বিপুল পরিমাণ রুশ সেনা থাকবে সেখানেই এই মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে। বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে এই বোমা নিষিদ্ধ হলেও যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেনে নিষিদ্ধ নয়।

বেলারুশে প্রবেশ করেছে ওয়াগনার সেনারা : রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সেনারা বেলারুশে প্রবেশ করেছে। ইউক্রেনের বর্ডার গার্ড জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে এসব সেনা বেলারুশের ভূখণ্ডে এসেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ করে ওয়াগনার গ্রুপ। এতে নেতৃত্ব দেন বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। এ বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তি হয় ওয়াগনার সেনাদের রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। অথবা তাদের বেলারুশে চলে যেতে হবে।

ইউক্রেনের বর্ডার গার্ড জানিয়েছে, রাশিয়ার থেকে বেলারুশে ওয়াগনারের কত সেনা প্রবেশ করেছে এখন সেটি বের করার চেষ্টা করছেন তারা। একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, রবিবার ওয়াগনারের ৬০টি যানের একটি বহর রাশিয়া থেকে বেলারুশে ঢুকেছে।

ইউক্রেনের ৯টি ড্রোন ভূপাতিত করল রাশিয়া : রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের অন্তত নয়টি সামরিক ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছে মস্কো। আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ও কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহর রবিবার ভোরে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলের বন্দরে নয়টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ঠেকিয়ে দেয়। এমন দাবি করে বিবৃতিতে দিয়েছেন ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশপন্থি গভর্নর। মস্কোর সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল

রাজভোজায়েভ রবিবার বলেছেন, শহরের অবকাঠামো বা সমুদ্রে থাকা কোনো জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, দুটি ড্রোন সাগরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করে নামানো হয়। বাকি পাঁচটি রাশিয়ার ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বাহিনী আটকে দেয় এবং অন্য দুইটি ড্রোন উপকূলীয় তীরের বাইরে ধ্বংস করা হয়। সেভাস্তোপোলের বন্দর, বালাক্লাভা ও খেরসনে আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন এই রুশ কর্মকর্তা। ফলে ভোরের দিকে কিছু সময়ের জন্য বন্দরে যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট