আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়েছিল বুলগেরিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের ট্রানজিট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে দেশটি। ফলে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তুরস্ক এবং বুলগেরিয়ার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খবর আল জাজিরার।
১৩ বছরের জন্য চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। এই চুক্তির ফলে বছরে এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস তুরস্কের ভেতর দিয়ে বুলগেরিয়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।
তুরস্কের সরকারি গ্যাস কোম্পানির নাম বোটাস। তরলিকৃত গ্যাস ব্যবহারে বুলগেরিয়ার সমস্যা ছিল। ওই গ্যাস সাপ্লাই করার ব্যবস্থা তাদের ছিল না। এবার তুরস্কে সে কাজ হয়ে যাবে। তুরস্ক থেকে সরাসরি বুলগেরিয়ার কাছে গ্যাস যাবে। বস্তুত, বিদেশের যে সব জায়গা থেকে বুলগেরিয়া গ্যাস সংগ্রহ করে, সেটিও তুরস্কের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছাবে।
বুলগেরিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার গ্যাসের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে থাকে। এরই জের ধরে গত বছরের এপ্রিল মাসে বুলগেরিয়ায় রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বুলগেরিয়া অত্যন্ত সমস্যায় পড়ে। পরে আজারবাইজান থেকে তারা গ্যাস আনার ব্যবস্থা করে। কিন্তু তাতেও প্রয়োজনীয় পরিমাণ গ্যাস মিলছিল না। আর এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে তাদের চুক্তি ঐতিহাসিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাস দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রভাব বলয়ে ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যতই হোঁচট খাচ্ছে, তুরস্ক ততই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
Leave a Reply