স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)।
শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে গুণীজনদের সংবর্ধিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও গানের মাধ্যমে অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে, নগর ভবনে পৌছালে গান আর নৃত্যের তালে তালে অতিথিবৃন্দকে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এসম মেয়র বলেন, রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের নামে আর্ট গ্যালারি স্থাপন করতে চাই। আমাদের এই মেয়াদে আর্ট গ্যালারি স্থাপন কাজের সূচনা করতে চাই। তিনি রাজশাহীতে এসে রাজশাহীকেই ধন্য করেছেন। আমরা তাকে সংবর্ধণা দিয়ে নিজেরাই ধন্য হয়েছি। কারণ এই রকম মানুষকে সচরাচর পাওয়া যায় না, সচরাচর জন্মও নেন না।
রাসিক মেয়র বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, এমন বক্তব্য আগে কখনো শুনিনি। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যে সকল তথ্য তুলে ধরেছেন, তা আমাদের আগামী প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েই কিভাবে তিনি যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন করেছেন। জয়বাংলা এখন তার প্রাত্যহিক বিষয়। এই শ্লোগানের মধ্যে কি যে শক্তি রয়েছে।
লিটন বলেন, স্বাধীনতার অনেকগুলি বছর পার হয়েছে। এর মধ্যে ইতিহাস বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। জামাত-বিএনপি চক্র স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিল। ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমান এখানে মূল ভূমিকায় ছিল। সেই অপশক্তি দেশটাকে অস্থির-বিশৃঙ্খল করেছে, তারা থেমে গেছে এটা ভাবার কোন সুযোগ নাই, কারণ তারা দেশেই আছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও মিসেস তৌফিকা আনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৬২ সালের পর প্রথম রাজশাহীতে পা রাখলাম। রাজশাহীর আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি রাজশাহীর এই পরিবর্তনকে একজন শিল্পীর হাতের কারুকাজের সাথে তুলনা করে বলেন, এই পরিবর্তনের শিল্পী মেয়র।
মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মানে কোন ব্যক্তিকে হত্যা নয়। আবহমান বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য এ হত্যাকাণ্ড। যার শুরু হয় ১৯৭১ থেকে। যারাই এদেশে আগামীর নেতৃত্ব দেবার মতো ছিলেন তাদেরককেই বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সুদূর প্রসারী চক্রান্তের শামিল হয় এদেশের কিছু ব্যক্তি। এরপর স্বাধীন বাংলায় ৩ হাজার ৫০০ জন সেনাবাহিনীর সদস্য ও অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়।
Leave a Reply