স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যারা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, জ্বালাও পোড়াও করে, তারা আবার খুবই সক্রিয়। শুধু রাজপথে নয়, তারা ঘরেও সক্রিয়, বিদেশি দূতাবাসেও সক্রিয়। এই মুহূর্তে বিএনপির চারজন নেতা সিঙ্গাপুরে, চারজন একসঙ্গে অসুস্থ্য হয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন এটি মেনে নেওয়ার মতো না। এতো বোকা বাংলাদেশের মানুষ নয়। তারা সেখানে কোনো দেনদরবার বা কোনো দান-খয়রাত যেটা পাবে, সেগুলো ঠিকঠাক করতে গেছেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে নগরীর সাগরপাড়া মোড়ে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে মহানগর শ্রমিক লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লিটন বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, আওয়ামী লীগকে উপড়ানো তো দূরের কথা একটি ডালও ভাঙা সম্ভব না। ১৯৭৫ পরবর্তী চরম দুঃসময়েও আওয়ামী লীগ টিকে থেকেছে। দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে। এই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা কখনোই সম্ভব নয়। আমরা এই শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে জনগণের রায়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসবো। উন্নয়নের অনেক কাজ এখনো বাকি। যেগুলো শেষ করতে পারলে ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশে আমরা পরিণত হবো।
সভায় অতিথির বক্তব্যে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিশোধ সেদিন নেওয়া যাবে, যেদিন আমরা আবারো শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে পারবো। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার।
শোক সভায় শ্রমিক লীগের রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। স্মরণসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
সভা সঞ্চালনা করেন শ্রমিক লীগের রাজশাহী মহানগরের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
Leave a Reply