আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার আলেপ্পোর জিনদায়ার্স শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেয়া কন্যা শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আয়া। শিশুটি তার মাসহ তিন ভাইবোনকে হারিয়েছে। জন্মের পরই সব হারানো শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন জানিয়েছেন কয়েকশ মানুষ। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৫ ঘণ্টা পর সিরিয়ার হোয়াইট হেলমেট টিম আয়াকে উদ্ধার করে । তার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেহান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আয়া। হাসপাতালের স্টাফরা নিশ্চিত করেছেন, আয়া সুস্থ আছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিশু আয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে দৌড় দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তখন শিশুটির শরীরে কোনো কাপড় ছিল না।
আয়াকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন তার দুর সম্পর্কের এক আত্মীয়। তাকে দত্তক নিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অসংখ্য মানুষ। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে তাকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কুয়েতের এক টিভি উপস্থাপিকা সরাসরি বলেছেন, আমি এ শিশুটিকে দেখাশুনা ও দত্তক নিতে চাই, যদি আইনগত কোনো বাধা না থাকে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ডাক্তার খালিদ আত্তিয়া জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, আমি কাউকে এখন আয়াকে দত্তক নিতে দেব না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার আত্মীয়রা আসছে। আমি এখন তাকে নিজ সন্তানের মতো চিকিৎসা দিচ্ছি।
এদিকে, সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৫০ জন।
অন্যদিকে, শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৭ হাজার ৬৭৪ জন।
Leave a Reply