সুজন হোসেন: নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ বিপাকে রয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি পণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে। শীত ঘনিয়ে আসলেও কমার লক্ষণ নেই সবজির দামও। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, বাধাকপি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম, গাজর। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কাঁচামরিচে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা ।
বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ টাকা। আরও বেড়েছে শীতের সবজি ফুল কপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায় । শশাতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) রাজশাহীর সাহেব বাজার, উপশহর নিউমার্কেট ও লক্ষীপুর বাজার ঘুরে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটোর কেজি ১৪০, গাজর ৯০ টাকা এবং বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এ সবজিগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই এমন দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আলুর কেজি ২৫ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিংগা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, লাউ পিচ ৪০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে দেখা মিলেছে লাল, হলুদ, সবুজ ক্যাপসিকামের। সবুজ ক্যাপসিকাম আড়াইশ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা কেজি।
সাহেব বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জামাল বলেন, পাইকারী বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবজি বিক্রি করি। পাইকারী বাজারে দাম বেশি থাকলে খুচরা বাজারেও দাম বেশি থাকে। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচের সঙ্গে ফুলকপির দাম ও বেড়েছে। তবে বাজারে অন্য সবজির দাম ঠিক আছে।
সবজি ক্রেতা নাসিমউজ্জামান বলেন, বাজারে নাগালের বাইরে রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম। আর পাইকারী বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দামের তফাতটাও অনেক বেশি। এই বিষয়টা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা দরকার।
অন্যদিকে বয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা কমে ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা কেজি। দেশী মুরগি ৪২০ টাকা এবং হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি । গত সপ্তাহে ডিমের দাম হালিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে লাল ডিম ৪০ টাকায়। আর সাদা ডিমের হালি ৪২ টাকা।
Leave a Reply