স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৫ বছরে রাজশাহী হবে কর্মসংস্থানের বছর। পিছিয়ে পড়া রাজশাহী হবে কর্মচঞ্চল নগরী। আগামীতে নির্বাচিত হলে রাজশাহীর জন্য সেই কাজটি করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সোমবার(১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে রাসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লিটন বলেন, ২০১৯ সালে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পের মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কাজ আমরা করতে পেরেছি। বাকি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অব্যবহৃত থেকে গেছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে আরো ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ এনে কাজ করতে চাই। নগরীর বর্তমান আয়তনকে বৃদ্ধি করে ৩৭০ কিলোমিটারে নিয়ে যেতে চাই। নতুন জনবল নিয়োগ, পদোন্নতিসহ সকল ব্যয় নির্বাহে সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি করতে চাই।
মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। শতাধিক কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। দায়িত্ব গ্রহণে ৬ মাসের মধ্যেই সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করি। সিটি কর্পোরেশন ইপিআই কার্যক্রমে পরপর ১১বার দেশসেরা হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছি। রাজশাহী এশিয়ার মধ্যে অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে। এই অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন, রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম ও প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন, রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহম্মদ মামুন।
Leave a Reply