1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

পাটচাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন নওগাঁর কৃষকরা

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২
  • ৫০৫ বার পড়া হয়েছে
সংগৃহীত ছবি

নওগাঁ: সোনালি আঁশখ্যাত পাটের উৎপাদন নওগাঁয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। জাগ সমস্যা, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং সময়মতো শ্রমিক না পাওয়ায় পাটচাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, নওগাঁয় এবার ৪৫০ হেক্টর জমিতে দেশি পাট, ৪ হাজার ৬০০ হেক্টরে তোশা পাট এবং ২৮০ হেক্টর জমিতে মেসতা পাট চাষ হয়েছে। গত বছর ৪৪৫ হেক্টরে দেশি পাট, ৫ হাজার ৯০০ হেক্টরে তোশা পাট এবং ৫১০ হেক্টর জমিতে মেসতা পাটচাষ হয়েছিল। এবার ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে কম পাটচাষ করা হয়েছে।

সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ইকরতারা গ্রামের দিলিপ কুমার বলেন, আমি এবার দুইবার পাটের বীজ রোপণ করেছিলাম। প্রথমবার বৃষ্টির কারণে বীজ থেকে চারা বের হয়নি। দ্বিতীয়বার আবহাওয়া ভালো থাকায় পাট ভালো হয়েছে। আমাদের এখানে আগে মোটামুটি সবাই পাটচাষ করতেন। কিন্তু জাগ দেওয়ার সমস্যার কারণে কেউ আর পাটচাষ করতে চায় না। পাশে নদী থাকলেও পানি নষ্ট হওয়ার কারণে নদীতে পাট জাগ দিতে পারি না।

রানীনগর উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, জাগের সমস্যা আমাদের বড় সমস্যা। আগে আমাদের এখানে অনেক পুকুর ছিল। কিন্তু এখন বেশির ভাগ পুকুর প্রভাবশালীরা মাটি দিয়ে ভরাট করে ঘর-বাড়ি তৈরি করেছে। যার ফলে পাট উৎপাদন করেও কোথায় জাগ দেব সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। আগে ১ কুড়ি পাটের আঁটি প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ হত ১০০-১৫০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০-৭০০ টাকায়। বিঘা প্রতি ১০-১২ মণ আঁশ পাওয়া গেলেও খরচ হয় ১৩-১৪ হাজার টাকা। যা দরিদ্র কৃষকের জন্য অনেক কষ্টের। এ কারণে আগের মতো আর পাট উৎপাদন করা হচ্ছে না।

নওগাঁ কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে জেলায় ৫ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৬০০ হেক্টর, রানীনগরে ৪০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২৫০ হেক্টর, বদলগাছীতে ১ হাজার ৪৬০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২০০ হেক্টর, পত্নীতলায় ১৫০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৮৩০ হেক্টর এবং মান্দায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হয়েছে জেলার মান্দা উপজেলায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ কে এম মনজুরে মওলা বলেন, নওগাঁ মূলত ধান এবং আম উৎপাদনশীল জেলা। যার ফলে পাটচাষে কৃষকের আগ্রহ অনেক কম। এ বছর ৬ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাটচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও মাত্র ৫ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পাট জাগ দেওয়ার জন্য পুকুর ভাড়া পাওয়া গেলেও আমাদের এখানে তেমন কোনো পুকুর নেই। ফলে কৃষক পাটচাষ করতে আগ্রহ হারাচ্ছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট