স্টাফ রিপোর্টার, গোদাগাড়ী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বোরো ধান খেতে সেচের পানি না পেয়ে আবারও এক আদিবাসী কৃষক কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। খবর পেয়ে সোমবার রাতে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ হাসপাতালে যান। তিনি কৃষক মুকুল সরণের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুকুল সরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন এ ঘটনা ঘটলো তা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেচ সেবা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে কিটনাশক খেলে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামের আদিবাসী কৃষক মুকুল সরেনকে (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের ১৪ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার লিভার ওয়াস করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে, তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
মুকুল সরেন জানান, সেচের পানির জন্য তিনি এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছেন। কিন্তু নলকূপ অপারেটর হাসেম আলী বাবু তার জমিতে পানি দিচ্ছিলেন না। রবিবার দুপুরে তিনি আবার পানির জন্য যান। তখন বাবু তাকে এক বোতল কীটনাশক দেন এবং সেটা বাবুর জমিতেই দিয়ে আসতে বলেন।
এ সময় মুকুল বলেন, পানি না দিলে তিনি বিষ খাবেন। তারপরও তার জমিতে পানি দেয়া হয়নি। তখন তিনি ওই কিটনাশক পান করেন। পরে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
Leave a Reply