1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন

পাবনায় ছাত্রলীগের সভায় হামলা-ভাঙচুর

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য মুস্তাকিম মুহিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের।

প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা আহ্বান করে জেলা ছাত্রলীগ। সভার শুরুতেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালনের সময় হঠাৎ করেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব ও শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এসে সভা আয়োজনে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি অভিযোগ তুলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে ধমকাতে শুরু করেন।

এসময় তারা আগতদের বসতে বললে তারা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। আকস্মিক হামলায় নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করলে সভাপতি সবুজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ সাবেক নেতারা চেয়ার তুলে আঘাত করলে কপালে লেগে আহত হন সবুজ। পরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সভাস্থল ত্যাগ করেন হামলাকারীরা। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবারো সভা শুরু করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, কতিপয় চিহ্নিত যুবক প্রকাশ্যে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ছাত্রলীগের কেউ না। পরিকল্পিতভাবে তারা আক্রমণ ও সভা পণ্ডের চেষ্টা করেছে। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে মুহিব ছাত্রলীগে সক্রিয় নয়। তারা কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

তবে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা স্বীকার করলেও হামলার ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি মুস্তাকিম মুহিবের।

তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। এই সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমও তারা স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করে। নির্বাচনী কমিটিগুলোতে কেন আমাদের রাখা হচ্ছে না তা জানতে আমরা গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে বঞ্চিত কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে হামলা বলে ঘটনা ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভায় একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট