জাতীয় ডেস্কঃ আজ ৮ আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন। ১৯৩০ সালের এ দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৯২ বছর। তার বাবা শেখ জহুরুল হক ও মা হোসনে আরা বেগম। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বেগম মুজিব। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারে বারে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি ছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বঙ্গমাতার নিকটে ছুটে আসতেন, তিনি তাদের জাতির জনকের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন।
তারা বলেন, আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রি মহল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল তার কবিতায় লিখেছিলেন, ‘বিশ্বে যা কিছু চির সুন্দর, কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ বেগম মুজিবের জীবনী বিশ্লেষণে বিদ্রোহী কবির এই কবিতার যথার্থ প্রতিফলন দেখা যায় বলে জানান তারা।
এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে সপরিবারে খুনিচক্রের বুলেটের আঘাতে নিহত হন।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় পালন করবে। দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Leave a Reply