1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

বাঘের কারাদণ্ড!

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে

বিচিত্র ডেস্ক : এ যেন বাঘের কারাদণ্ড। এমনটিই হতে যাচ্ছে একটি বাঘের ক্ষেত্রে। কারণ, ভীষণ উগ্র এ বাঘটি বারবার মানুষ খুন করেছে। তাতেই শেষ নয়, নিজের প্রজাতির সঙ্গেও বনিবনা নেই।

ভারতের রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানের টি-১০৪ বাঘটির বিষয়ে উদ্যানের কর্মীরা বলছে, বাঘটি স্বভাবে ভীষণ উগ্র। কাউকে দেখলেই তেড়ে যাওয়াই তার স্বভাব। তাই তার সঙ্গে প্রায়ই লড়াই বাধছিল এলাকার অন্য বাঘদের। কিন্তু প্রবল শক্তিশালী টি-১০৪-এর সঙ্গে লড়াইয়ে টেকা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। তাই ভয়ে কয়েকটি বাঘ নিজেদের এলাকা ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছিল অগভীর জঙ্গলে, জনবসতির কাছাকাছি এলাকায়। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন গ্রামের মানুষ। তারা বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করছিলেন।

পরে বাঘটিকে বাগে আনতে না পেরে তাই শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জঙ্গলের চিফ ওয়ার্ডেন। বাঘটিকে আজীবন খাঁচাবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাঘটিকে পরিচিত এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নির্বাসন দেওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে ভারতের জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে।

দীর্ঘদিন ধরেই রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান থেকে বাঘটিকে সরানোর দাবি উঠেছিল। পর্যটকদের আক্রমণ করার স্বভাবের জন্য এবং অন্য বাঘদের ভয় দেখানোর অভ্যাসের জন্য বাঘটি সবারই অপছন্দের তালিকায়। ভারতের বন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালেই বন্দি করা হয় টি-১০৪কে। তার আগেই বাঘটি পর্যটক-সহ তিনজনকে হত্যা করেছিল। তবে বন্দি হওয়ার পরও তার স্বভাব বদলায়নি। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানে বহু বাঘের সঙ্গেই লড়াই চলত তার।

বাঘ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের বাঘ মিশুক প্রকৃতির নয়। নিজের প্রজাতির অন‌্য বাঘের সঙ্গে মিলমিশ করে থাকা এর স্বভাবে নেই। তাই এরা হিংস্র প্রকৃতির এবং একা থাকতেই পছন্দ করে। সেটা বুঝতে পারার পরই রণথম্ভোর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাঘটিকে। তাকে আপাতত কম পর্যটক অধ্যুষিত মুকুন্দ্র হিলস ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের দারা পাহাড়ি এলাকায় খাঁচাবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাঘটি সেখানে বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না বলে অনুমান চিফ ওয়ার্ডেনের। এ ব্যাপারে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট