স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা একাত্তরের পরাজিত শক্তি আর আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করার দফা। বিজয়ের মাসে আমরা রাজশাহীর মানুষ শপথ নিয়েছি। সমস্ত নৈরাজ্য আর সন্ত্রাসের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। আপনারা রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে চান? আমরা রাজনৈতিক বক্তৃতায় জবাব দিবো। আপনারা যদি লাঠি দিয়ে আঘাত দেন আপনাদের সেই লাঠির জবাব আমরা লাঠিতে দিবো।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর জয় বাংলা চত্বর (বাটার মোড়) এলাকায় “রাজনৈতিক দার্শনিক শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জয়যাত্রা” স্লোগানে বিজয় মিছিলের পূর্বে পথসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদ বলেন, বাংলাদেশে বিএনপির কিছু কিছু নেতা ঘোষনা দিয়েছিলেন ১০ তারিখ না কী সারা বাংলাদেশ দখল নিবে। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা বলেছিলাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শেখ হাসিনা যে কাজ করছে বাংলার মানুষ তার পক্ষেই থাকবে। ওরা বলেছিলো ওরা পল্টনেই সমাবেশ করবে। আমরা বলেছিলাম রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দিবো না। ওরা চ্যালেঞ্জ ঘোষনা করেছিলো। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছিলাম। তারা সেই চ্যালেঞ্জে পরাজিত হয়ে গরুর হাটে সমাবেশ করতে হয়েছে।
আজকের এই সমাবেশ থেকে পরিস্কার করে বলতে চাই, অপনারা যে দশ দফা দাবি দিয়েছেন, আপনাদের দফাতেই ভুল। বিএনপিতে কী কোন ভালো আইনজীবী নেই? তারা জানেন না? তত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার সরকার বাতিল করেনি। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্বাতাধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে।
বিএনপি বলেছে, খালেদা জিয়াসহ আলেম ওলামাদের মুক্তি যাই। আলেম ওলামাদের নাম বলছেন না কেন? ভাসুরের নাম নিতে লজ্জা লাগে? দেলোয়ার হোসেন সাঈদির যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে নারী ধর্ষন ও মানুষ হত্যার দায়ে। আর মুমিনুল, তার তথাকথিত বউয়ের মামালায় জেলে আছে। আর কারা আছে নাম বলতে হবে। ব্যাক্তিগত রোশানলে ফেলে আওয়ামী লীগ কাউকে জেলখানায় রাখেনি।
মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বিজয় মিছিলের আহবান করেছিলেন। মিছিলে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বাটারমোড় এলাকায় জড়ো হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন তারা। নেতাকর্মীরা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো এলাকা।
মিছিলে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি বদরুজ্জামান রবু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী, মুন্ডুমালা পৌরসভার বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন এই মিছিলে। জয় বাংলা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সাহেববাজার, কুমারপাড়া, মনিচত্বর ঘুরে আবারো জয় বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
Leave a Reply