1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

ভুট্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে নওগাঁর চাষিরা

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নওগাঁর মাঠে মাঠে এখন সবুজ পাতার সমারোহ।লকলকে সবুজ পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে ভুট্টার কাঁদি। কিছুদিনের মধ্যে পরিপুষ্ট দানায় পরিণত হবে। চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এবং ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। পরিশ্রম, খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এ ছর জেলায় চাষিরা উন্নত জাতের তাজমেরি এইচ-৫৫, এনকে-৪০, সানসাইন, সুপারসাইন-২৭৬৯, ২৭৪০ ও ৯৬ এবং মুকুট ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে ভুট্টার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। জেলার নয় উপজেলায় ভুট্টার চাষাবাদের পরিমাণ হলো সদর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর, রানীনগরে ৫৩৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর, মান্দায় ৩০০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১৪৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ৬৫ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ২০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩৫ হেক্টর, সাপাহারে ৪০ হেক্টর এবং পোরশায় ১০ হেক্টর। গতবছর জেলায় ৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার নিচু উপজেলা রানীনগর ও আত্রাই। আবাদি জমি নিচু হওয়ায় সেখানে আগেই বন্যায় ডুবে যায় এবং আগেই পানি নেমে যায়। সেসব জমি ফেলে না রেখে কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে ভুট্টার আবাদ করছেন। ভুট্টার আবাদে পরিশ্রম কম ও ফলনও বেশি হয়। বাজারে দাম পাওয়ায় তাদের আগ্রহও বেশি। ভুট্টার পর উঁচু কিছু জমিতে অন্য ফসল ধান ও পাট হয়। তবে বন্যায় ডুবে যাওয়ার ভয়ে কৃষকরা আর আবাদ করেন না।

আত্রাই উপজেলার বড় কালিকাপুর গ্রামের কৃষক কৌশিক আহমেদ জানান, দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। এ এলাকায় বন্যায় ডুবে যায়। আগে পানি এসে আগেই নেমে যায়। এরপর অন্য কোনো আবাদ হয় না। ওই জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল ভুট্টা। প্রতি বিঘায় ৪০-৪৫ মণ ফলন পাওয়া যায়।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, ১ বিঘায় আবাদ করতে ১ মণ ডিএপি, ১ মণ ইউরিয়া, কীটনাশক, চাষাবাদ ও পানিসহ প্রায় ১০-১১ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ বাদ দিয়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা লাভ থাকে।

কৃষক শরিফ জানান, ভুট্টার আবাদে খরচ ও পরিশ্রম কম। আবার ফলনও বেশি। বাজারে ভালো দামও পাওয়া যায়। এবার ১০ কাঠা জমিতে ভুট্টা লাগানো হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং দামও পাওয়া যাবে।

রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ৪০০ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গতবছর কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছিল। উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ভুট্টার আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভুট্টায় যেসব রোগবালাই হয়ে থাকে, এবার খুবই কম পরিমাণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট