আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখন প্রায় ২৪ হাজার। সেখানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ তুরস্কে ২০ হাজার ২১৩ এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।

জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন।

সিরিয়ার গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, দেশটির সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছেন।

এর আগে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, তুরস্কে অন্তত ১৮ হাজার ৯৯১ জন নিহত হয়েছেন। যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ আফাদ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২ হাজার ৮৩৪টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে এই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়েছে একাধিক ভবন।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।