রেনেসাঁস নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মা-ছেলেসহ চারজন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের দোবিরগঞ্জ এলাকায় বাস-নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ও রবিার এসব দুর্ঘটনা ঘটে। খবর ওয়েবসাইটের।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বেপরোয়া গতিতে চলা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার মাধপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পিরোজপুরের কাউখালী থানার শিয়ালকাঠি গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী মেরিনা আক্তার (৩২), তার শিশুপুত্র জুনায়েদ (৩), ঢাকার সাভার এলাকার হুমায়ুন কবির (৪৮) ও ঝালকাঠি সদরের আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫০)।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। বাসটি চলছিল বেপরোয়া গতিতে। ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাধীন মাধপুরে পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে চলা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মা-ছেলে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত দুইজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
কিশোরগঞ্জ : কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের উপজেলার ছয়সূতি নওগাঁও ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সৌখিন পরিবনের একটি বাস কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের কুলিয়ারচর উপজেলার নওগাঁও ব্রিজ এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরবের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সিরাজগঞ্জ : হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের দোবিরগঞ্জ এলাকায় বাস-নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলাধীন দোবিরগঞ্জ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার সাইখোলা গ্রামের মৃত শেরু খাঁ’র ছেলে ঠান্ডু (৪৫) ও মৃত আতাহার প্রামানিকের ছেলে সামাদ (৪৫)। দুজনই পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
Leave a Reply