1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

রদ্রিগো-ভিনিসিউসের গোলে রিয়ালের তিনে তিন

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ৪০৩ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক : শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একচেটিয়া আধিপত্য করল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ২৮ মিনিটের মধ্যে পেয়ে গেল দুটি গোল। তারপরও নিতে পারল না ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। অসংখ্য সুযোগ হারিয়ে এবং দুর্বল রক্ষণে গোল হজম করে শেষ মিনিট পর্যন্ত থাকল অনিশ্চয়তায়। রক্ষণাত্মক ফুটবলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেলেও কার্লো আনচেলত্তির দলকে অবশ্য আটকাতে পারেনি শাখতার দোনেৎস্ক।

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। রদ্রিগোর গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। প্রথমার্ধেই শাখতারের একমাত্র গোলটি করেন অলেকসান্দার জুভকভ।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৯ ম্যাচ জয়ের পর গত রোববার লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ড্র করে রিয়াল। দাপুটে পারফরম্যান্সে তিন দিন বাদেই জয়ের পথে ফিরল তারা। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শাখতার।

গ্রুপের আরেক ম্যাচে সেল্টিককে ৩-১ গোলে হারানো লাইপজিগ ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। সেল্টিকের পয়েন্ট ১। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় রিয়াল। সে যাত্রায় সাফল্য না মিললেও চাপ ধরে রেখে ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা।

সতীর্থের পাস পেয়ে ডি-বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছিলেন রদ্রিগো, তবে প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে ফিরতি বল পেয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও রুখতে পারেননি।

খানিক পর বাঁ কি দিয়ে দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষের দুজনের মাঝ দিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন ভিনিসিউস। তবে রক্ষণেই তা প্রতিহত হয়। প্রতিপক্ষের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ফেদে ভালভেরদেও। ২৫তম মিনিটে বেনজেমার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।

তিন মিনিট পর আক্রমণভাগের দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় গড়া আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। করিম বেনজেমা মাঝমাঠে বল ধরে ডান দিকে ভালভেরদেকে বাড়িয়ে এগিয়ে যান। এরপর ভালভেরদের পাস পেয়ে রদ্রিগো প্রতিপক্ষের তিন জনের ঘেরে থাকা অবস্থায় বেনজেমার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বল বাড়ান বক্সে। আর ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ভিনিসিউস।

পরের ১০ মিনিটে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে রিয়াল। নিশ্চিত দুটি সুযোগ পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি ভিনিসিউস; গোলরক্ষক একটি ঠেকানোর পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। বেনজেমার একটি প্রচেষ্টাও রুখে দেন ইউক্রেইনের গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।

রিয়ালের আক্রমণের ঢেউয়ের মাঝেই ৩৯তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে শাখতারকে লড়াইয়ে ফেরান জুভকভ। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে একটি লাফিয়ে নেওয়া ভলিতে গোলটি করেন ইউক্রেনের ফরোয়ার্ড।

বিরতির পরও একইরকম চাপ ধরে রাখে রিয়াল। তবে, এ যাত্রায় রক্ষণে শাখতার ছিল জমাট। ফলে আক্রমণের ঝড় তুললেও নিশ্চিত সুযেগ তৈরি করতে পারছিল না বেনজেমা-ভিনিসিউসরা। ৬৪তম মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পান রদ্রিগো। বেনজেমার সঙ্গে বল দেয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে তরুণ ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ক্রবিন।

এরপর খেলার গতি একটু কমে আসে। পাল্টা আক্রমণে মনোযোগী হয় শাখতার, তেমন কোনো সুযোগ যদিও তৈরি করতে পারেনি তারা। শেষ ১০ মিনিটে আবারও প্রবল চাপ তৈরি করে রিয়াল। তিন মিনিটের মধ্যে বেনজেমা দুবার সুবর্ণ সুযোগ হারানোর হতাশায় পোড়েন। প্রথমবার তার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর তার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক।

আর যোগ করা সময়ে বেনজেমার পাস ধরে শট নেন রদ্রিগোর বদলি নামা আসেনসিও। প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে বল পোস্টে বাধা পেলে ব্যবধান আর বাড়েনি। কাঙ্ক্ষিত জয় মিললেও ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা আনচেলত্তির কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে। প্রথম ৪৫ মিনিটেই গোলের উদ্দেশ্যে ১৮টি শট নেওয়া রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধেও নেয় সমান ১৮ শট, লক্ষ্যে থাকে মোট ১৪টি শট। চোট কাটিয়ে ওসাসুনা ম্যাচ দিয়ে ফেরা বেনজেমার গোলের অপেক্ষা দীর্ঘ হওয়াও তাদের জন্য দুর্ভাবনার।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট