স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা ও মহানগর মিলে গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮৮ জন। জেলা ও মহানগর পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মহানগর পুলিশের তথ্যমতে, নগরীর ১২টি থানায় মহাসড়ক আছে মাত্র ২১ কিলোমিটার। বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা হয় মহাসড়কে। বিশেষ করে রাজশাহী-কাটাখালী সড়ক ও রাজশাহী-নওগাঁ সড়কে।
মহাসড়কে আতঙ্ক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল রাজশাহীতে বেশিরভাগই দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলে। এর পরেই আছে ট্রাক ও মাইক্রোবাস।
নগরীর ১২টি থানায় ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ৭০টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৭০ জন। আহত হয়েছেন আরও ৪৭ জন। এসব ঘটনার মধ্যে ২৭টিই মোটরসাইকেলের। ২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাকের সাথে। মাইক্রোবাসের সাথে একটি।
জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, রাজশাহী জেলায় মহাসড়ক রয়েছে মোট ৮৬ কিলোমিটার। জেলা পুলিশের অধীনে ৮টি থানা। এসব থানায় ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১১৩ জন। আহত হয়েছেন ৪১ জন। এসব দুর্ঘটনাও অধিকাংশই ঘটেছে মোটরসাইকেলে। রাজশাহীর বেশিরভাগ সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল রীতিমতো আতঙ্কের নাম।
নিরাপদ সড়ক চাই জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট তৌফিক আহসান টিটু বলেন, রাজশাহীর সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি। বিগত কয়েক বছরে এটি বেড়েছে। আমরা অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দিচ্ছি। মোটরসাইকেল চালকরা ভালোমানের হেলমেট পরছে না। মোটরসাইকেল একটু সাবধানে চালালে ও পথচারীরা যদি একটু সচেতন হয় তবেই এ দুর্ঘটনা কমে আসবে।
দুর্ঘটনা বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (অ্যাডমিন) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার যেটা মনে হয়, মাঠপর্যায়ে ১৮ থেকে ২৫ বছরের ছেলেরা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালায়। আইন মানে না। একটু ভাব দেখাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এগুলো প্রতিরোধে আমরা সব সময় চেকপোস্ট পরিচালনা করছি। ড্রাইভিং লাইসেন্স, বেপরোয়া ড্রাইভিং, তিনজন নিয়ে চলাচলকারী বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান।
মহাসড়কে আতঙ্ক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলচালকের অদক্ষতা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না রাজশাহী অঞ্চলে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি অনির্বাণ চাকমা বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা চলছে। আমরা স্পিডগানের মামলা দিচ্ছি। কাগজপত্র চেকিং হয়। জরিমানা করি। এগুলো করে যতটুকু পারি আমরা ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজের প্রাণের প্রতি আগে নিজেকে দয়া রাখতে হবে। এটি না হলে দুর্ঘটনা কমবে না।’
Leave a Reply