স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মেরিন আক্তার সিমু ওরফে জান্নাত (২০) নামে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শনিবার বিকেলে নগরীর বেতপট্টি এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মেরিনা আক্তার সিমু দুর্গাপুর উপজেলার চককৃষপুর পানানগর গ্রামের মৃত মোজ্জামেল হকের মেয়ে এবং নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
লাশ উদ্ধারের সময় তুহিন নামের এক যুবক ওই ছাত্রীর স্বামীর পরিচয় দিয়েছেন। তার বাসা শাহমখদুম থানার কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পাশে এবং বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র। তুহিনের কাছ থেকে পাওয়া কাবিননামায় উল্লেখ আছে, জান্নাতের নাম মেরিন আক্তার সিমু ও বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চককৃষপুর পানানগর এলাকা। আর তুহিনের নাম দেয়া আছে, সিফাইতুল ইসলাম। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সদশিবপুর এলাকা। পিতার নাম সাইফুল ইসলাম।
তুহিন জানায়, জান্নাত তার বিবাহিত স্ত্রী। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার স্ত্রী তাকে তালাক দেয়। যার কাগজ তিনি গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) পেয়েছেন। শনিবার দুপুরে তার স্ত্রী ফোন করলে তিনি ওই বাড়িতে আসেন এবং তাকে দেখে তার স্ত্রী দরজা লাগিয়ে দেন। এসময় তিনি মেরিনার পাশের ঘরের লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিন্তু তখন জান্নাত গলায় ফাঁস দেয় বলে তার দাবি। পরে তুহিন জানালা দিয়ে তা দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মেরিনার লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মেরিনার স্বামী তুহিনকে আমরা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। জানতে পেরেছি, ওই মেয়ের এর আগে আরেকবার বিয়ে হয়েছিলো। তুহিন ছিলো দ্বিতীয় স্বামী। তাকেও তালাক দিয়েছে। তাদের বিয়ে পরিবারের সবাই জানতো।
Leave a Reply