স্টাফ রিপোর্টার : রোজার শুরুতে বেগুনের দাম এক লাফে কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও এবার রোজার আগেই শীত মৌসুমে দাম কমে গেছে। সবজিটির ব্যাপক দরপতনে হতাশ রাজশাহীর চাষিরা।
বৃহস্পতিবার সাহেববাজার নিউমার্কেট বাজার ঘুরে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল প্রতি কেজি বেগুন ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করছেন। অবশ্য এর আগে ছিল ৫০ টাকা। কম দামে সবজি বিক্রিতে লোকসান গুনছেন তারা। চাষিদের ভাষ্য, উৎপাদন বাড়ার কারণে দাম কমেছে।
সকালে পাইকারিতে বেগুন বিক্রি করতে আসা রাকিব উদ্দিন বলেন, ১০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করে কোন লাভ হয় না। বেগুনের পোকা দমন করা এখন মুশকিল। আগে কম ওষুধে কাজ হয়ে যেত কিন্ত এখন হয় না। তারপরও দাম থাকলে ভালোই হয়। কিন্ত দাম তো নাই।
উপশহরের বাসিন্দা সুমন হোসেন বললেন, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির দাম অনেক কম। ১০ টাকা কেজি পালং, বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা দিলেই হয়। পটল ২০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসেন আব্দুর রহিম। তিনি জানান, এ মৌসুমে বাজারে লম্বা ও গোল দুই ধরনের বেগুনই আছে। তবে দাম অনেক কম। বর্তমানে বাসাবাড়ির পাশাপাশি রেঁস্তোরা ও খাবারের দোকানেও প্রচুর বেগুন দরকার হয়। কালাইয়ের রুটির দোকানে বেগুনের চাহিদা বেশি। দাম কম থাকায় চাষিরা লাভবান হতে পারছেন না।
এদিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা এবং ময়মনসিংহ থেকে বেগুন ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার তুলনায় রাজশাহী অঞ্চলে সবজির দাম কম। ট্রাকভর্তি বেগুন চলে যায় ঢাকার কাওরানবাজার, শান্তিনগর, ফার্মগেট বাজারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ২২-২৩ মৌসুমে জেলায় মোট ১৫ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ করা হয় । এরমধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেগুন চাষ করা হয় ১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে। তবে এখন সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে। জেলায় সবচেয়ে বেশি বেগুন চাষ হয় পুঠিয়া উপজেলায়। এ বছর জেলায় ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৪১৬ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।
Leave a Reply