স্টাফ রিপোর্টার: মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে রাজশাহী। শুক্রবার সকালে হাঠৎই নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এটিই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।

আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

সর্বশেষ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।

কামাল উদ্দিন বলেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই সেটি শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। আর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গন্য হয়। সেই হিসেবে রাজশাহী এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। কেবল রাজশাহী নয়, শীত বাড়ছে পুরো রাজশাহী বিভাগেই। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া

নওগাঁর বদলগাছীতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বগুড়ায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
এদিকে, সূর্যের তাপে দিনের বেলায় শুক্রবার রাজশাহী ততটা শীত অনুভূত হয়তি। তবে সন্ধ্যা নামার পর একেবারেই জেঁকে বসেছে শীত। এতে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও ভাসমান লোকজন। সাধ্যমত শীত নিবারনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শীতার্তরা।

ঢাকা আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নম্নচাপে। এর প্রভাবেই দেশে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
এই মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বেয়ে যেতে পরে। ওই সময় তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপমাত্রা আরও কমে (৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) মাঝারি শৈত্যবাহেও রূপ নিতে পারে।

আগামী জানুয়ারীতে দেশে ২থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এর মধ্যে অন্তত: ২টি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র রূপ নিতে পারে। তখন তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেও। তকে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড়ের আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।