স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে হোটেলে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় ওই হোটেলের দুজনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেন সাংবাদিক আনিসুজ্জামান।
মামলার আসামিরা হলেন- ‘হোটেল এক্স’ এর রিসিপশন কর্মকর্তা অমিত ঘোষ ও পারভেজ। অমিত ঘোষ নগরীর রাজপাড়া থানার বেতিয়াপাড়ার কার্তিক ঘোষের ছেলে ও পারভেজ একই এলাকার সাইদুর রহমান ওরফে সাজদারের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ‘হোটেল এক্স’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহী প্রতিনিধি আনিসুজ্জামান। নানা অপকর্মে বিতর্কিত এ হোটেলে দুটি কোচিং সেন্টার রাজশাহীর সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গিয়ে অনুষ্ঠান করছিল। অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা ও ছবি তোলাকে ঘিরে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে হোটেল নিরাপত্তা কর্মী পরিচয় দেয়া এক যুবকের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আনিসুজ্জামানকে গালিগালাজ করে পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে হোটেল কর্মীরা তাকে আটকে রাখে। পরে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ফোন থেকে সব ছবি ডিলিট করার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে যান রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপনসহ কয়েকজন সাংবাদিক। তারা প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা সাংবাদিক আনিসুজ্জামানকে পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার করে হোটেল থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন হোটেলের কর্মীরা আবারও পুলিশের সামনেই সাংবাদিক আনিসুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। প্রকাশ্যেই হত্যার হুমকি দিতে দেখা যায়।
সাংবাদিকর অভিযোগ, হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে অভিযুক্তদের আটকের দাবি জানালে পুলিশ দুজনকে থানায় নেয়। কিন্তু থানায় নেয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি এবং উল্টো হোটেল এক্সের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান। এক পর্যায়ে কার তথ্য পেয়ে হোটেলে সাংবাদিক গেলেন তা জানতে চাপ দেয়ার চেষ্টা করেন।
তারা আরও জানান, পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তৌহিদুল আরিফের সামনেই ওসি সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে ওসির প্রত্যাহার দাবি জানান।
Leave a Reply