স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাজারে আগাম জাতের লাল পাখরি (ইন্দুরকানি) আলুর দেখা মিলছে শীতের শুরু থেকেই। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন কাঁচাবাজারে মাঝারি ও বড় আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা সপ্তাহ দুয়েক আগে ২০ টাকায় নেমে এসেছিল। চাষিরা সেসময় ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এখন দাম বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বেশ ভালো দামের কারণে খুশি জেলার আলু চাষিরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাহেব বাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি আসছে। সব সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের ভেতরেই আছে। নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন ৩০ টাকা । আগেভাগে তোলা নতুন আলু বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।
সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, লাল আলু বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি। দিন পনের আগে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর কিছুদিন পর আরো দাম কমবে। সাদা বার্মা জাতের আলু একটু দাম কম। ৪০ টাকা কেজি। মাঝে কমে গিয়েছিল। আবার ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাজারে যে আলু দেখা যাচ্ছে তার বয়স সর্বোচ্চ ৭০ দিন ছাড়িয়ে গেছে। ৫০ দিনের পর থেকে আলুর আকার মাঝারি হতে শুরু হয়। ফলে কোন কোন চাষি আগাম আলু উত্তোলন করে বাজারজাত করেন। এতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামের ক্ষেত্রে পুষিয়ে যায়। ফলন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেক হলেও তাদের আপত্তি থাকে না। এখন তুলনামূলকভাবে ফলনের সঙ্গে দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৩৮ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে। চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমে আগের তুলনায় কমেছে আলুর চাষ। ৩৬ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে ৯ লাখ ৭৬ হাজার ১২৭ মেট্রিক টন আলু চাষের পরিকল্পনায় এগোচ্ছে কৃষি বিভাগ। অর্থাৎ প্রতি হেক্টর জমিতে ২৬ দশমিক ৫০ টন আলু চাষ করার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাষিরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তারা আলুর নায্য দাম পান না। তবে গত দুই বছর থেকে দাম ভালো পাওয়ায় আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তারা। কিছুদিন আগে আলু আমদানি বাড়তি হওয়ার কারনে দাম কমে গিয়েছিল। সেসময় ৬৫০ টাকা মণ দরে লাল আলু বিক্রি করেছেন। সেই একই আলু বাজারে দাম বেড়ে পাইকারিতে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু।
Leave a Reply