স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ‘প্রক্সি’ জালিয়াতিতে ধরা পড়েছেন সাইমুম হাসান (২৫) নামের এক চাকরিপ্রার্থী। সাইমুমের হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন আরেকজন।
শনিবার সন্ধ্যায় হাতের লেখা মিলিয়ে ওই চাকরিপ্রার্থীর জালিয়াতি ধরা হয়। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ড পাওয়া সাইমুম বাগমারা উপজেলার গঙ্গা নারায়ণপুর গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুম স্বীকার করেছেন, তাঁর পক্ষে লিখিত পরীক্ষায় বিকল্প একজন পরীক্ষা দিয়েছেন।
সাইমুম হাসান জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. ওয়ালিদ নামের এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই ওয়ালিদই সম্প্রতি তার চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যান। এতে তিনি উত্তীর্ণ হন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৪টি পদের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ১৩টি পদ অফিস সহায়কের। সাইমুম ওই পদেরই প্রার্থী। শনিবার বিকেলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সব প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছিলেন। তখনই সাইমুমের হাতের লেখায় গরমিল দেখা দেয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার হয়ে আরেকজনের পরীক্ষা দেয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ওই পরীক্ষার্থী নিজে যে খাতায় লিখেছেন, সেই খাতায় তিনি শূন্য পেয়েছেন। আর তার হয়ে যিনি খাতা জমা দিয়ে গেছেন, তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না। এ ছাড়া তারা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখতেই জালিয়াতি ধরা পড়ে। সাইমুমের হয়ে যিনি লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাকে ধরতে হলে মামলা করতে হবে। ওই প্রার্থীর ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply