স্টাফ রিপোর্টার : জোর করে দফতরে প্রবেশ করে সচিবকে মারধরের চেষ্টা ও ত্রাস সৃষ্টির মামলায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪-এর বিচারক ফয়সাল তারেক এই পরোয়ানা জারি করেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি মঞ্জুর রহমান খান উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) পদে ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হোসেন উপ-সচিব (ক্রীড়া অফিসার) হিসেবে কর্মরত আছেন। জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দফতরে ঢুকে মারধরের চেষ্টা ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন। এ বিষয়ে আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) সশরীরে আদালতে হাজির হতে দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একরামুল হক জানান, ধার্য তারিখে আসামিরা আদালতে হাজির হননি। ফলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশকে এই পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মামলার আসামি মঞ্জুর রহমান খান।
আদালতে দাখিল করা আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং অফিসের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও তাণ্ডবের সৃষ্টি করেন এবং ফাইলপত্র বিনষ্ট করেন। একই সঙ্গে বোর্ডের উপ-পরিচালককে (হিসাব ও নিরীক্ষা) তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। আদালতের নির্দেশে এই অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিন্তু অভিযোগের স্যততা পাননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের রাজশাহী কার্যালয়ের পরিদর্শক আবদুল মান্নান। মাস ছয়েক আগে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দেন তিনি।
এদিকে, সবিচের এই অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্তেও অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। ওই তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন আইনজীবী ইয়াহিয়া। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তারা তদন্তকালে বোর্ডের তৎকালীন সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনের অভিযোগের প্রমাণ পাননি।
Leave a Reply