1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচন

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণে দেরি আর কয়েক ঘণ্টা। রাত পোহালেই একযোগে আরম্ভ জেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নির্ধারণের এই নির্বাচন। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ভোট মানেই চায়ের কাপে আলোচনা-সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্কের ঝড় তোলা। পাড়া-মহল্লায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে রাগারাগি কিংবা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করা অনেক পরিচিত ঘটনা।

তবে পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় রাজশাহীতে এই নির্বাচনে আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র, প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা সীমিত হওয়ায় ভোটের আমেজ নেই বললেই চলে। এমনকি আগামীর জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাওয়া-পাওেয়া কিংবা প্রত্যাশাও নেই অনেকের।

তথ্যমতে, সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে একযোগে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রেই সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে ভোটগ্রহণ। নির্দলীয় এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ।

এদিকে রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এই নির্বাচনে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, তিনটি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন ও অন্যরা ৯টি সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলার নয় উপজেলার নয়টি ভোটকেন্দ্রের ১৮টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮৫ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন একজন, কারাগারে রয়েছেন একজন ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে আছেন একজন। রাজশাহীর প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানায় নির্বাচন অফিস।

তবে রাজশাহীর এই নির্বাচনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে নির্বাচনী উত্তেজনা। স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে ক্রমেই।

সপ্তাহখানেক আগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের কর্মীরা মোহনপুর উপজেলার ধুরইলে পোস্টার লাগাতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটে, যা শেষমেশ মামলা পর্যন্ত গড়ায়। তবুও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী দুই প্রার্থীই।

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের দাবি, বিভিন্ন টালবাহানা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার ও তার সমর্থকরা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে উল্টো আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায় চাপাচ্ছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আখতার।

নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি উপজেলা মিলনায়তনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক এসব সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট