স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) মাহজুবা খাতুন আখি (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে তার শুশ্বর বাড়ির লোকেরা। সোমবার (১৫ মে) দিনগত রাতে রামেকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মৃত গৃহবধূর বাবা আরশাদ আলী কাশিয়াডাঙ্গা থানার হাড়ুপুরের চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৩ বছর আগে হাড়ুপুরের আরশাদ আলীর মেয়ে আখির বিয়ে হয় একই থানার কাঠালবাড়িয়া সজিবরের ছেলে আতিকুল ইসলাম টনির সঙ্গে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে টনি ও তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি আখিকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও মারপিট করে নির্যাতন করতেন।
সোমবার ১৫ মে রাত ৩টার দিকে পলি বেগম নামের এক প্রতিবেশী হঠাৎ আখির বাবা আরশাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে খবর দেয় তার মেয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেছে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। খবর পেয়ে রামেকে গিয়ে দেখেন, তার মেয়ে মৃত অবস্থায় ট্রলির উপরে রয়েছে। মৃত অবস্থায় রেখে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পালিয়ে গেছে বলে জানতে পারেন তিনি। পরে লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরশাদ আলী জানান, সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে তার স্বামী টনি, শ্বশুড়ি রাশিদা, শ্বশুর সজিবর, কাঠালবাড়িয়া এলাকার কামরুল ইসলাম কামুসহ অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জন আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
দাবি করে আরও বলেন, আমার মেয়ে কে হত্যা যদি না করে তাহলে রাতে আত্নহত্যার খবর আমাকে জানাত তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। তাছাড়া রাতে শুধু তার চাচাতো শ্বাশুড়ি নাসিমা ও তার ননদের স্বামী কামরুল রামেকে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার আখিকে মৃত ঘোষনা করার পরে তারা পালিয়ে যেতো না। মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকদের প্ররোচনায় আত্নহত্যা করেছে আখি। আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে এজাহার নেয়া হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply