স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল চত্বর থেকে মো. সনি (১৭) নামে এক কিশোরকে তুলে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। রামেক হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
রবিবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। এদিকে সনির সঙ্গে তার বন্ধু তৈয়বুরকেও (১৭) তুলে নিয়ে যায়। তাকেও কুপিয়েছে হামলাকারীরা। বর্তমানে সে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ বলছে, হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লার সমবয়সী একদল কিশোরের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলে সনির। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারিও হয়েছে। পরে মিটমাটও হয়ে যায়। এরই জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত সনির বন্ধু নয়ন (১৭) জানিয়েছে, রবিবার সনির জন্মদিন ছিল। রাতে তারা কয়েক বন্ধু মিলে সনির জন্মদিন উদযাপন করছিল। এ সময় বাথরুমে পড়ে গিয়ে বন্ধু সিজারের (১৭) থুতনি কেটে যায়। আরেক বন্ধু তৈয়বুরও (১৭) সঙ্গে ছিল। সিজারকে নিয়ে তারা চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে যাচ্ছিল। এ সময় হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের চারজনকেই তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সবজিপাড়ার গ্রুপটি।
কিন্তু আহত থাকায় সিজারকে তারা ছেড়ে দেয়। সিজারের সঙ্গে সেও ছাড়া পাই। ওই সময় তারা তৈয়বুর ও সনিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সবজিপাড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদের দুজনকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান নিহত সনির বাবা রফিকুল ইসলাম পাখি। তিনি বলেন, সনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়েছে।
তার অভিযোগ, হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার বিএনপি নেতা দিতির ছেলে আন্নাফ দলবল নিয়ে সনি ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে যায়। তারাই তাদের কুপিয়ে ফেলে যায়।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ঘটনার পর এই কাণ্ডে জড়িতরা পলাতক রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply