জাতীয় ডেস্ক: পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পুকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আর কোনো প্রার্থী না থাকলে আজই নিশ্চিত হবে তার পদ।
আজ রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু’র মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং পেশায় একজন আইনজীবী । তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন।
সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র জীবনে সাহাবুদ্দিন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন সাহাবুদ্দিন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড, রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।
Leave a Reply