স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে পুঁজিটা ছিল আরও বেশি। তবু অস্ট্রেলিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কা হেরেছিল ১০ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে গত রাতে শ্রীলঙ্কার পুঁজি ছিল মাত্র ১২৪ রানের। এই পুঁজি নিয়েই অজিদের ৭ উইকেট তুলে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিলের স্বাগতিক বোলাররা। তবু শেষ রক্ষা হয়নি অবশ্য। ম্যাথিউ ওয়েডের দারুণ কৌশলী ব্যাটিংয়ে অজিরা জয় তুলে নিয়েছে ৩ উইকেটে। তাতে দলটি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
আগের ম্যাচে তাও লঙ্কান টপ অর্ডার তুলেছিল ১০০ রান। এরপরই ধসে পড়েছিল দলটির ইনিংস। গত রাতে ৭ রানেই হারিয়ে বসে দুই উইকেট। প্রথম ওভার করতে আসা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তুলে নেন দানুষ্কা গুনাথিলাকাকে। পরের ওভারে জাই রিচার্ডসনের শিকার বনেন পাথুম নিশাঙ্কা।
এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস আর চারিথ আসালঙ্কা গড়েন ৫৫ বলে ৬৬ রানের জুটি। তবে দলটির প্রতিরোধের স্থিতিটা ছিল সেই পর্যন্তই। দলীয় ৭৩ রানে আসালঙ্কার বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কা উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও ভানুকা রাজাপাকশে, দাসুন শানাকা আর ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গারা বিদায় নিয়েছেন যথাক্রমে ১৩, ১৪ ও ১২ রানে। দলীয় ১২১ রানে হাসরাঙ্গার বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই দলটি হারায় আরও তিন উইকেট। তাতে লড়াকু পুঁজির আশাটা মাঠে মারা যায় লঙ্কানদের। স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ১২৪ রান।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুশমন্থ চামিরার করা দ্বিতীয় ওভারে যখন ১৮ রান তুলল অস্ট্রেলিয়া, তখন মনে হচ্ছিল আরেকটা বড় হারই বুঝি অপেক্ষা করছে শ্রীলঙ্কার জন্য। তবে স্বাগতিক বোলাররা লড়াইয়ে ফেরেন এরপরই। তৃতীয় ওভারে ফিঞ্চকে ফেরান ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। এরপর পাওয়ারপ্লেতে মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ আর পাওয়ারপ্লে শেষে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরায় দলটি। লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল তখনই।
Leave a Reply