আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার এ সংক্রান্ত ডিক্রি জারি করে তিনি বলেছেন, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। খবর রয়টার্সের।
এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ইইউর সদস্যপদ পেতে হলে ইউক্রেনকে আগে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার রুসলান ডিজিউবাকে শনিবার চাকরিচ্যুত করেন জেলেনস্কি।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলেনস্কির একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলির আস্থা নষ্ট করতে পারে এমন দুর্নীতির জন্য শূন্য সহনশীলতা দেখানোর জন্য দ্রুত এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কিয়েভ সরকার। যারা অস্ত্রের বিশাল চালান এবং কোটি কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে দেশটি টিকিয়ে রেখেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেন। এরপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ যদি আমাদের ভূমি, স্বাধীনতা, আমাদের জীবন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে- আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
চলমান যুদ্ধে দুই দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। আধুনিক অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ সব অঞ্চল।
Leave a Reply