1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

সহপাঠী থেকে সহকর্মী তারা

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : মিজানুর রহমান, ইয়াকুব আলী নিশান ও সাঈকা হরকিল। তারা তিনজনই ছিলেন রাজশাহী কলেজের এইচএসসির বিজ্ঞান বিভাগের সহপাঠী। পরবর্তীতে একই বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনজনই। কর্মজীবনে একই ব্যাচে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নির্বাচিতও হন তারা। ভাগ্যক্রমে বর্তমানে তারা রাজশাহী কলেজের একই বিভাগে কর্মরত।

জান যায়, তিন দশক আগে রাজশাহী কলেজের এইচএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তারা। তারা সবাই ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাশ করে তিন বন্ধুই ভর্তির সুযোগ পান গণিত বিভাগে।

তাদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও সাঈকা হরকিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ইয়াকুব আলী নিশান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তাদের প্রত্যেকেই সফলতার সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষাজীবন শেষ করেন। অধ্যয়ন শেষে তিনজনই প্রস্তুতি নেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) চাকরির জন্য। পরিশ্রম ও অধ্যবসায় শেষে সফল হোন প্রত্যেকেই, নির্বাচিত হোন ক্যাডার হিসেবে যোগদানের জন্য। অলৌকিকভাবে তিনজনই মনোনীত হোন শিক্ষা ক্যাডারে যোগদানের জন্য।

এ বিষয়ে ইয়াকুব আলী নিশান জানান, গ্রামের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায় হলেও বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকেই রাজশাহীতে থাকা ও বেড়ে ওঠা। মাধ্যমিক পাশ করে ইন্টারমিডিয়েট ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। তিনি বলেন, ১৯৯৩-৯৪ বর্ষে অধ্যয়ন শেষে ১৯৯৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি আমরা। এরপর সাঈকা হরকিল ও মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হয়, আর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হই।

এরপর আমরা যার যার মতো অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে বিসিএসের প্রস্তুতি নিই। পরে ২৪ তম বিসিএসে আমরা একসাথে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। প্রথমে আমরা একেকজন একেক কলেজে যোগ দেই। এর মধ্যে আমি নওগাঁর সরকারি বসির উদ্দিন মেমোরিয়াল কো-অপারেটিভ (বিএমসি) কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেই। এরপর ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজশাহী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করি। সেই থেকে আমরা একসঙ্গে একই বিভাগে কর্মজীবন পার করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখান থেকেই এইচএসসি পাশ করেছি, আবার এখন যারা এইচএসসি শিক্ষার্থী তাদের আমরাই গণিত ক্লাস নিই। যেই কলেজে এইচএসসি পড়েছি এখন সেই কলেজেই এইচএসসি পড়ানো, এটা সব থেকে ভালো লাগার। আর তিন বন্ধু সঙ্গে ডিপার্টমেন্টে থাকলে অবশ্যই ভালো লাগে।

একজন আরেকজনের সুখে-দুঃখে পাশে থাকাসহ যে কোনো অনুভূতি ভাগাভাগি করেন এখনও। এছাড়াও অবসর সময়ে গল্প, আড্ডা কিংবা সবই রয়েছে তাদের মাঝে। এমনকি শিক্ষকতা পেশাকে চাকরি হিসেবে না নিয়ে প্রত্যেকেই উপভোগ করছেন বলেও জানান তিনি।

উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যয়নকালীন বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সময়ের যুগ এতো আপডেট ছিল না। অল্প কিছু ছেলে-মেয়ে কথা বলতো বা ঘুরাঘুরি করতো, ছেলেরা ছেলেদের মতো আর মেয়েরা মেয়েদের মতো। তবে কর্মক্ষেত্রে একসাথে হয়ে বন্ধুত্বটা প্রগাঢ় হয়েছে।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের আরেক সহকারী অধ্যাপক সাঈকা হরকিল জানান, গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছি উপজেলায় হলেও ছোট থেকেই রাজশাহীতে বেড়ে ওঠা। রাজশাহীতে দাদার বাড়ি থাকায় এখানেই কেটেছে জীবনের বড় একটা সময়। পাশাপাশি বাবার ব্যবসার সূত্রে কিছু সময় কেটেছে দিনাজপুরে। তবে রাজশাহীর পিএন গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করি। পরে রাজশাহী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করি।

তিনি আরও বলেন, অধ্যয়ন শেষে ২৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। প্রথমে নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। এর কিছুদিন পরেই রাজশাহী কলেজে বদলি হই। সেই থেকে এখানেই আছি।

মিজানুর রহমান জানান, তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিনায়। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে রাজশাহী আসা। রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে বিসিএসের প্রস্তুতি নেই। ২৪ তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। কর্মজীবন শুরু হয় নাটোরের সিংড়া উপজেলার গোল-ই-আফরোজ কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে।

এরপর ২০১৩ সালে রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে বদলি হই। একই বছরে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে রাজশাহী কলেজেই পদায়িত হই। আমার আগে থেকেই সাঈকা হরকিল রাজশাহী কলেজে ছিল, আর আমি যোগ দেয়ার কিছু পরে নিশান রাজশাহী কলেজে যোগ দেয়। সেই থেকেই আমরা তিন বন্ধু এক সঙ্গে কর্মজীবন পার করছি।

সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, যেই কলেজে ছাত্রত্ব ছিল আজ সেই কলেজেই শিক্ষকতা করছি। তাও আবার তিন সহপাঠী একসঙ্গে। এতে করে শিক্ষাদান যেমন আনন্দের হয়েছে তেমনিভাবে আমাদের বন্ধুত্বও বেশ মজবুত হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট