ঝিমিয়ে পড়া স্কোয়াশকে জনগণের খেলায় পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান কমিটি। ২০২৮ সালে অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পণ তাদের।
রবিবার (১৯ মে) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত কর্মশালায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এমন আশার কথা জানান বাংলাদেশ স্কোয়াশের বর্তমান কমিটি।
বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ও স্কোয়াশ ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কোয়াশ একসময় নিয়মিত হলেও অনেক দিন ধরে স্থবিরতা চলছিলো। আমরা নতুন রূপে সাজানোর চেষ্টা করছি। বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। যেনো খেলাটা সারাবছর ঘুরে ফিরে হয়। যেসব জায়গায় কোর্ট আছে। কিন্তু জীর্ণ দশা। সেখানে সংস্কার করার চেষ্টা করছি। এছাড়া ব্যক্তিগত একাডেমিতে সারাবছর চর্চা হয়ে থাকে।
আপাতত স্কোয়াশের ঘরোয়া প্রোগ্রামের দিকে দৃষ্টি। তাই এখনই নতুন করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার লক্ষ্য নেই। তাদের স্বপ্ন বড়-২০২৮ অলিম্পিক।
কামরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে খেলোয়াড় তৈরি করছি। তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলানোর জন্য সেভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যেন দেশের বাইরে গিয়ে সাফল্য আনতে পারে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিক। যদিও বড় স্বপ্ন দেখছি। তবে হাতে সময় আছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারলে তখন অলিম্পিকে আমরা খেলতে পারবো।’
স্কোয়াশের নিজস্ব ভেন্যু নেই। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে এক রুমই ভরসা। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে বনানীর ২২ নম্বরে ১২ দশমিক ৬ কাঠা বরাদ্দ পেলেও তার দখল বুঝে পায়নি। সেখানে স্কোয়াশ কমপ্লেক্স হওয়ার কথা। অথচ ২০২০ সালে এর প্রজেক্টও জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সুউচ্চ ভবনে একাধিক কোর্টসহ খেলোয়াড়দের হোস্টেল থাকবে।
আক্ষেপ সুরে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ হয়েছে ঠিকই। তবে এখনও তা বুঝে পাইনি। ওটা অন্যের দখলে। এরই মধ্যে আমরা সেখানে কী করবো তার প্রজেক্টও জমা দিয়েছি। এখন সেখানে কমপ্লেক্স হলে স্কোয়াশের জন্য চিন্তা করতে হবে না।
দুই পর্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রথমে ঢাকা ক্লাবের স্কোয়াশ কোর্টে হাতে-কলমে খেলাটির নিয়ম-কানুন, কলা-কৌশল শেখানো হয়।
দ্বিতীয় পর্বে স্কোয়াশ খেলার তাত্ত্বিক বিষয় এবং বাংলাদেশে খেলাটির সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। বিএসপিএ’র সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব, সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেন, বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান খানসহ অনেকেই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় অর্ধশতাধিক ক্রীড়াসাংবাদিক, স্কোয়াশ খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।
Leave a Reply