1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

হলুদে ছেয়েছে রাজশাহীর মাঠ, বাম্পার ফলনের আশা

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর মাঠ মাঠে হলুদের ঢেউ। জেলার নয় উপজেলায় মাঠের পর মাঠ চাষ হয়েছে সরিষা।এবার কৃষক ও সংশ্লিষ্ট অফিস বাম্পার ফলনের আশা করছেন। দেশের ঋতু পরিক্রমায় হেমন্ত ও শীত ঋতুতে মাঠে মাঠে সরিষার চাষ হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর। সেখানে জেলাতে সরিষা চাষ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের ধারণা, এসব জমিতে ৬৭ হাজার ৫০০ মেট্রিটন সরিষা উৎপাদন হতে পারে। জেলায় চাষ হওয়া সরিষা দেশের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণে ভূমিকা রাখে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

রাজশাহীর প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সরিষা ফুলের অপূর্ব হলুদে ঢেউ খাচ্ছে। চোখ জুড়ানো দৃশ্য আর সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছিরা। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা মাঠ। প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে দিয়েছে তেমনি অর্থনৈতিক সচ্ছলতার হলুদ স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা।

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মিরপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম সরদার জানান, গত বছর দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এবছর দেড়বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। ফসল চাষে ভিন্নতা আনার কারণে বাকি জমিতে গমের চাষ করেছি। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে আমাদেও সহযোগিতা করেছেন। বিঘা প্রতি আট মন সরিষার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তানোর উপজেলার সদর গ্রামের কৃষক রাসিদুল ইসলাম সাগর জানান, এবছর দেড় বিঘা জমিতে সরিষা ও ৮ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছেন। সরিষা চাষে সব মিলিয়ে তার খরচ পড়বে ৫ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে সরিষার ফুল ফুটতে শুরু করেছে, ভালো ফলন এবং দাম পেলে লাভ ভালোই হবে। আলুর গাছ বের হয়েছে এখন চলছে পরিচর্যার কাজ। তবে তিনি কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সুবিধা ও সহযোগিতা না পাওয়ায ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী মুল্যের চেয়ে বেশী দামে সার ও কিটনাশক কিনতে হয়েছে, তার অভিযোগ সময়মত সরকারী মুল্যে সার না পাওয়ায় আরও ২ বিঘা জমিতে আবাদ করতে পারেননি।

একাধিক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সময় মত সরকারী মুল্যে সার না পাওয়ায় বেশী দামে সার কিনে তারা চাষাবাদ করছেন। ফলে তাদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে বলে জানান ধানতৈড় গ্রামের আদর্শ কৃষক আশরাফুল আলমসহ একাধীক কৃষক।

একই উপজেলার কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, অন্য ফসলের তুলনায় কম খচর ও কম পরিশ্রমে সরিষা চাষে বেশি লাভ, তাই তিনি অন্য ফসলের পাশাপাশি এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। কিন্তু সরকারি কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। এছাড়া উচ্চ ফলনশীল সরিষা ও আবাদ ভালো হওয়ায় গত বছরের থেকে এবার বাম্পার ফলন হবে। আশা করা হচ্ছে, বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন হারে সরিষার ফলন হবে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের সময়মতো সার ও বীজ বিতরণ করেছি। তবে সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি এবিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখা হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট