স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কলকাতা প্রেসক্লাবে এক স্মরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বলেন, আগস্ট মাসেই ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগের উপরে আঘাতটা আসে এবং চক্রান্ত হয় সরকার উৎখাতের। আমার কাছে মনে হয় ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস, সেই পাকিস্তান প্রেমিরা, তাদের সেই পাকিস্তান আর নেই, বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এই গাত্রদাহ থেকে হয়তো একটা কিছুর পরিকল্পনা করে। আর পরের দিনই ভারতের স্বাধীনতা দিবস। দুটি দিবসকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, সাম্প্রদায়িক শক্তি, যাদের বিএনপি-জামায়াত নামে আমরা চিনি বা মৌলবাদী যত গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে, সকলের টার্গেট থাকে যে, এই মাসে শক্তি প্রদর্শন করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক আমরা সবাই চাই। নির্বাচনে তারা যদি আসে তবেই তারা বুঝতে পারবে তারা কোন জায়গাতে আছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তারা এগিয়ে নাকি আমরা এগিয়ে সেটার বোঝার একমাত্র মাপকাঠিতো নির্বাচন। আমরা চাইবো তারা নির্বাচনে এসে পরীক্ষা দিক।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের মহিলা সংরক্ষিত আসন-১১ এর সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়রপত্নী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ অনুষ্ঠান শেষে কলকাতা প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র লিটন।
Leave a Reply