দেশের ১১ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। এ মুহূর্তে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
এসময় আরও জানানো হয়েছে, কুমিল্লায় ৪, ফেনীতে ১, চট্টগ্রাম ২, নোয়াখালীতে ১, ব্রাহ্মাণবাড়ীয়া ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যা প্লাবিত ১১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেনী। তবে সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা দুর্গত জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত শুষ্ক খাবার পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার কাজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, রবার স্কাউট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ সাধারণ মানুষ উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া ১ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বন্যায় দুই বিভাগের মোট ৪০টি উপজেলার ২৬০টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যাকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং হাসপাতালগুলোতে জরুরি মেডিকেল টিমসহ পর্যাপ্ত ওরাল স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন এবং অ্যান্টি-ভ্যানামসহ অন্যান্য ওষুধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকার সব স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী তিনদিনে বৃষ্টি কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
Leave a Reply