আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুর্গাপূজা ঘিরে উৎসবের আমেজ ভারতে। করোনার ধকল কাটিয়ে এবার উৎসবে রয়েছে ভিন্ন রঙ। সেই সুরে মহালয়ার আগে থেকে পূজার উদ্বোধন শুরু করে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তবে সেসব ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির একটি ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভ্যানে করে দুর্গাপ্রতিমা মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিমার হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেন দলের একজন পঞ্চায়েত সদস্য। শুক্রবার, মহাপঞ্চমীর বিকেলে ঘটে এই ঘটনা। দেবীর যে দু’হাতে ত্রিশূল থাকে, গোটা রাস্তায় সেই দু’হাতেই দেখা যায় শাসকদলের পতাকা। মণ্ডপে পৌঁছনোর পরে অবশ্য ওই পতাকা খুলে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় একজন বিজেপি নেতা বলছেন, ‘এতদিন মা দুর্গাকে অস্ত্র নিয়ে যেতে দেখতাম। এই প্রথম দেখলাম, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মণ্ডপ পর্যন্ত যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। বারোয়ারি পূজার সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষই যুক্ত থাকেন। এই বারোয়ারি পূজাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে। পঞ্চাশ হাজার, ষাট হাজার টাকা দিয়ে বারোয়ারিগুলো হাতের মুঠোয় করতে চাইছে।’
আরেকজন বিজেপি নেতা বলছেন, মহালয়ার আগে পূজার উদ্বোধন হচ্ছে। এই সরকার বা তাদের কিছু নেতা ধর্মকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। দুর্গাপ্রতিমার হাতে নেতা তৃণমূলের পতাকা দিচ্ছেন। অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। পূজা শেষ হলে থানায় অভিযোগ জানাব।
ওই পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, দিদি (মমতা বন্দোপাধ্যায়) উন্নয়ন করেছেন বলে আমরা প্রতিমার হাতে দলীয় পতাকা দিয়েছি। আমরা চাই, দিদি এমন উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যান। তবে তৃণমূলের সবাই এ ঘটনাকে সমর্থন করছেন না। কেউ কেউ বলছেন, সবাইকে ধর্মের নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত। নিজের সংস্কৃতির বাইরে কোনো কিছু করাই উচিত নয়।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীদের একাংশও ক্ষুব্ধ।
Leave a Reply