স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বায়ো হার্বস ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের ওপর হামলার পর রোববার (২ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর হড়গ্রাম টুলটুলিপাড়ার ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী।
তিনি বলেন, বিকেলে তারা তদারকিমূলক অভিযানে বায়ো হার্বস ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় যান। প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনবিহীন ওষুধ ও হেয়ার অয়েল উৎপাদন করছিল। তাছাড়া ওষুধের প্যাকেটে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রকও নেই। ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনে যথাযথ নির্দেশনাও মানেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বায়ো হার্বস ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানাটি রাজশাহীর সাংবাদিক নেতা তানজিমুল হকের বাড়ির সামনেই। দুপুরের দিকে সেখানেই হামলার শিকার হন তিনি।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, নগরীর টুলটুলি পাড়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছোট একটি রাস্তার পাশে বায়ো হার্বস আয়ুর্বেদিকের কারখানা। প্রতিদিন কোম্পানির ৫/৭টি গাড়ি রাস্তার ওপরে রেখে তারা মালামাল ওঠা-নামানোর কাজ করেন। এতে করে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এলাকাবাসী ভোগান্তিতে পড়েন।
তিনি বলেন, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক তানজিমুল হক সংবাদ সংগ্রহের কাজে বের হওয়ার সময় বায়ো হার্বস আয়ুর্বেদিকের মূল ফটকের সামনে তাদের গাড়ি থাকায় আটকে পড়েন। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে বায়ো হার্বস আয়ুর্বেদিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তানজিমের ওপর চড়াও হন। তাকে মারধরের পাশাপাশি গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে অবস্থান নেন। পরে কারখানাটিতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালায়।
নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় তানজিমুল হক পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে।
Leave a Reply