লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুদিনাপাতা স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্লিনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ফলে পুদিনাপাতা ত্বক, চুল ও শরীর এতিনটির জন্যই খুব উপকারী। যেকোনো পরিচর্যার জন্য কয়েকটি পাতাই যথেষ্ট। তাই সঠিক পরিমাণ ও ত্বকের ধরন বুঝে পুদিনাপাতা ব্যবহার করতে হবে ।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে পুদিনা: ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতা বেটে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে এক টেবিল-চামচ মুলতানি মাটি, আধা টেবিল-চামচ মধু ও আধা টেবিল-চামচ টক দই। ঘন মিশ্রণ হওয়া পর্যন্ত মেশাতে থাকুন। ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন টক দই। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুবার এটা ব্যবহার করলে ত্বকের তেলতেলে ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া পুদিনাপাতা মেশানোর ফলে এতে খনিজ উপাদান যোগ হয় এবং বাড়তি তেল দূর হয়ে ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পুদিনা: দুই টেবিল-চামচ চটকানো কলা এবং ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতার পেস্ট মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাক সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।
ব্রনের ওষুধ পুদিনা: খুব দ্রুত ব্রণ দূর করতে পুদিনাপাতা দারুণ কাজ করে। ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতা ছেঁচে এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি ব্রণ, ব্রণ আক্রান্ত স্থান বা ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এটা ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য পুদিনা: শুষ্ক ত্বকের জন্য ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতা বেটে তার সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ টক দই ও এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে ঘন পেস্ট করতে হবে। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃণ, আর্দ্র ও কোমল রাখতে এই ফেস প্যাক খুবই কার্যকর।
Leave a Reply