স্টাফ রিপোর্টার : গত কয়েকদিনের চেয়ে রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নিম্নআয়ের ছিন্নমুল মানুষ। পাশাপাশি প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে বোরো বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন রাজশাহীর কৃষকরা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৫ হাজার ৩০০ হেক্টর। বোরো বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ হেক্টর। এ পর্যন্ত বীজতলা অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৪৯৮ হেক্টর জমিতে। এবারও সেই লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে তবে তা ছড়িয়েও যেতে পারে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
কৃষকরা জানিয়েছেন, চলমান শীতে কৃষকদের আবাদি ফসলের প্রস্তুতি নিতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। আর কিছুদিন পরই বোরো আবাদ রাজশাহীর বরেন্দ্রঅঞ্চল জুড়ে পুরোদমে শুরু হবে। তার আগে ধানের চারা পরিচর্যার কাজে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। প্রচন্ড ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কৃষি অফিসের পরামর্শে বীজ রক্ষায় কৃষকরা বোরো বীজ তলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন যেন তা নষ্ট না হয়।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বোরো চাষের জন্য জমিতে বীজতলা তৈরি করছেন। গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করায় হলদে ও লাল রং ধারন করতে শুরু করেছে বোরো বীজতলা।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়ায় বোরো বীজতলা বড় হতে পারে না, সেই সঙ্গে হলদে ও লাল হয়ে মরে যাওযার পাশাপাশি পচে যায়। বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদন মোজদার হোসেন জানান, এই শীতে ধানের বীজতালা ঘনকুয়াশার কারনে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখাসহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন।
Leave a Reply