জাতীয় ডেস্ক : টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব-সাদপন্থী শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। আর
তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করছেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।
মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। বিশেষ করে বিপুল সংখ্যক বিদেশি মুসল্লি বুধবার রাত থেকে ময়দানে এসে অবস্থান নেন। এবারের ইজতেমায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
বিশ্ব ইজতেমার গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৪ দেশের প্রায় চার হাজার বিদেশি মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তর জুমার নামাজ আদায় করা হবে। এতে গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে মাওলানা আব্দুস সাত্তারের জিম্মাদারিতে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বেও দেশের ৬৪ জেলা ছাড়াও বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নিয়ে যার যার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গড়ে তুলেছেন নিরাপত্তাবলয়।
এদিকে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়দানে এসে পৌঁছান আদি তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সা’দ কন্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ কন্ধলভী, মাওলানা সাঈদ কন্ধলভী, মাওলানা ইলিয়াস কন্ধলভী এবং তার মেয়ের জামাতা মাওলানা হাসান। তাবলিগের সাথীরা তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সা’দপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, এরই মধ্যে পুরো বিশ্ব ইজতেমাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথম পর্বে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল এবারও ঠিক আগের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট থাকবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে সাত হাজার ৫৩৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
Leave a Reply