স্টাফ রিপোর্টার : আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীর আমের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। সারাদেশে এককথায় বিক্রি হয়, মানুষ কেনেও দেদারছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে রাজশাহীর আম। এবার আমার পরে ইতালিতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজশাহীর পেয়ারা।
বাঘা উপজেলার চাষি শাফিকুল ইসলামের বাগানের উৎপাদিত আধা মেট্রিক টন পেয়ারা প্রাথমিকভাবে ইতালিতে রপ্তানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে প্যাকেজিং করে এই পেয়ারা ইতালিতে প্রথম চালান হিসেবে পাঠানো হয়।
উপজেলার পাকুড়িয়ার সাদি এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করেছি। এর মধ্যে পদ্মার চরে ৩০ বিঘা। এক সময় চরে কোনো আবাদ হতো না। এসব জমি ইজারা নিয়ে ধীরে ধীরে পরিচর্যা করে আবাদ করা শুরু করি। এখন এসব জমিতে আম, বরই ও পেয়ারা চাষ করা হচ্ছে। ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। চরের এসব জমিতে পেয়ারা চাষ হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একশ্রেণির মানুষ আধুনিক পদ্ধতির চাষ শিখেছেন। কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যাওয়ার কারণে বিদেশে রপ্তানির উপযোগী আম, পেয়ারা ও বরই উৎপাদিত হচ্ছে। এ জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিউল্লা সুলতান বলেন, উপজেলার চাষিরা কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে আম চাষ করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালে নিকট আধা মেট্রিক টন পেয়ারা পাঠানো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া মোড়ক দিয়ে মোড়ানো হচ্ছে পেয়ারা। এরপর কার্গো ফ্লাইটে পেয়ারা ইতালিতে পৌঁছবে।
তিনি বলেন বলেন, গত মৌসুমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের আটটি দেশে ৩০ মেট্রিক টন আম পাঠানো হয়েছিল। একইভাবে প্রথমবারের মতো পেয়ারা বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।
Leave a Reply