1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

পদ্মার চরে বাদাম চাষ, দ্বিগুন ফলনের আশা

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৪৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। প্রতিবছর নদী ভাঙনে অনেক আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে অনাবাদী জমিতে পরিণত হয়। নদীর পানির গতিধারা পরিবর্তন হয়ে মাঝে মাঝে জেগে উঠে খন্ড খন্ড চর।

কৃষকরা ফিরিয়ে পান তাদের হারিয়ে যাওয়া আবাদি জমি। স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন ফিরে পান তারা। সেখানে গাছের মুঠি ধরে টান দিলেই উঠে আসে সোনালী রঙের বাদাম। যেন বালুর নিচে লুকানো মুঠো ভরা সোনা। অক্লান্ত পরিশ্রমে ফলানো এ ফসল।

এক সময় বালুর আস্তরণ পড়া চরের জমিগুলো প্রায় অনাবাদি পড়ে থাকতো। বালু মাটিতে তেমন কোনো ফসলের চাষ হত না। তাই সেদিকে নজরও ছিল না কারো। কিন্তু সেই জমিতেই এখন ফলছে বাদাম। কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের জমিতে পুরোদমে চলছে এ বাদামের চাষ। এবছর বালুচরে এ ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর হাসি ছড়িয়ে পড়েছে কৃষকের মুখে।

পদ্মার চর এখন আর বালুকাময় নয়, পরিণত হচ্ছে শস্য ভূমিতে। শুধু বাদাম নয়; চাষাবাদ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দানা জাতীয় শস্য। তবে, পদ্মার বিস্তৃত চরজুড়ে এ বছর ব্যাপকহারে বাদামের চাষাবাদ করা হয়েছে। চরাঞ্চলের মাটিতে পলি পড়ায় বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর বাদাম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ফসল তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্বিগুন ফলন ও লাভের আশা দেখছেন কৃষকরা।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের বালু চরে এ বছর ২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২ দশমিক ১৭ মেট্রিকটন। উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের পলাশিফতেপুর, করারিনওশারা, কালিদাদ খালি, চকরাজাপুর, দাদপুর ও টিকটিকিপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য কৃষক বাদামের চাষ করেছেন। অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন ।

কৃষকরা বলছেন, ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বহুগুনে ছাড়িয়ে যাবে। পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের বাদাম চাষি গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি এবছর গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ বাদাম চাষ করেছেন। গত বছর বাজারে বাদামের দাম ভাল পাওয়ায় এবার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলার কালিদাসখালি গ্রামের হাফিজুল ইসলাম জানান, পলি জমে থাকার ফলে চরের জমি অনেক উর্বর। যার ফলে চরে যেকোনো ফসল ভালো হয়ে থাকে। আর চরের জমিগুলো ভুট্টা ও বাদাম চাষের জন্য আদর্শ। তিনি জানান, এবছর যদি ঠিকমত দাম পান, তাহলে আগামী বছর এর দ্বিগুন বাদাম চাষ করবেন।

চকরাজাপুরচরের বাদাম চাষি ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৮ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। উপযুক্ত পরিচর্যা করায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এতে পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের। অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। গত বছর বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আগাম বাদাম চাষ করেছেন। একই সাথে ফলন ভালো হওয়ায় চিনা জাতের বাদামের পাশাপাশি অনেকে ত্রি-দানা জাতের বাদামের আবাদ ও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে বাদামের বীজ বপন, পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট