আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্স এলাকায় মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার জোহরের নামাজের সময় এ হামলায় ৫৯ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত সশস্ত্রগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। খবর ডন ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইসলামাবাদেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ প্রমাণ করে হামলায় জড়িতদের ইসলামের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। মসজিদে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেছেন, এই সন্ত্রাসীরা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান এক টুইট বার্তায় এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী আত্মঘাতী হামলা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, সোমবার জোহরের নামাজের সময় পুলিশ লাইন্স এলাকার মসজিদের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন আত্মঘাতী হামলাকারী। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণে মসজিদের ইমাম সাহেবজাদা নূর উল আমিনও মারা গেছেন। হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান। বিস্ফোরণে মসজিদের একাংশ ধসে যাওয়ায় অনেকে ধ্বংস্তূপের নিচ চাপা পড়েছেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পেশোয়ার পুলিশের কর্মকর্তা এজাজ খান বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক পুলিশ সদস্য আটকে রয়েছেন। যে কারণে হতাহতের ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছি। তবে মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরকের গন্ধ পাওয়া গেছে। যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে পেশোয়ার পুলিশ, সিটিডি, এফআরপি, এলিট ফোর্স এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের সদর দফতর রয়েছে। বিস্ফোরণে হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করে পেশোয়ারের কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ বলেন, মসজিদের ভেতরে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply