1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে গাছে গাছে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। সারি সারি আমের গাছে এখন ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। আম চাষিরাও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আমের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।

চাষিরা জানিয়েছেন, তীব্র শীত পেরিয়ে আমের গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্তত মাস খানেক আগেই মুকুলের দেখা মিলেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন চাষিরা। তবে পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেকে।

জেলার চারঘাট-বাঘা উপজেলার আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল বছরে প্রলম্বিত শীতের কারণে ছোট গাছের তুলনায় পুরাতন আম বাগানের বড়-বড় গাছগুলোতে মুকুল কম এসেছিলো। এ বছর সব ধরনের আম গাছে মুকুল আসছে। তবে কীটনাশক, সেচের খরচ আর শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে কৃষকদের।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর শীতের প্রভাব আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে এখন মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধ। যে কারো প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। কোন কোন গাছ থেকে ক্ষুদ্র আকারে মুকুল বের হচ্ছে, আবার কোন-কোন গাছে পরিপূর্ণ মুকুল এসে গেছে। ফলে বাগান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে ৮ টিতে যে পরিমান আম বাগার রয়েছে। তার সমপরিমান বাগান রয়েছে শুধু বাঘা উপজেলায়। এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসল আম।

বাঘা উপজেলার আম চাষি শামসুল হক জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকে আম পাড়া পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে হেক্টরে ৩৮ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বালাইনাশক লাগে। সে হিসেবে বাঘায় ৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির আমগাছে বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকার কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার হয়ে থাকে। যার কমতি হবে না এবারও ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ্ সুলতান বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিবহন, রফতানিসহ বাজারজাত করলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আলিম বলেন, এবার গরম আগেই চলে এসেছে। আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কিছু কিছু গাছে মুকুল এসেছেও। আবার কিছু কিছু গাছে মাথা ফাটছে। এই ফাটা জায়গা থেকেই মুকুল বা নতুন পাতা বের হবে। তবে সেগুলো মুকুল হবে না নতুন পাতা হবে সেটা বুঝতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট