1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর বাজারে ব্রয়লারের কেজি ২০০ টাকা

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : দ্রব্যমূল্য বাড়ছেই। বাড়ছে সাধারণ মানুষের হা-হুতাশ। নিত্যপণ্যের অস্থির বাজারে গিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ছে সীমিত আয়ের মানুষের। রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগি, ডিম, চিনি ও মাছের দাম। নগরীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লারের মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০০ টাকায়।

শুক্রবার নগরীর সাহেব বাজার, জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর এবং উপশহর নিউ মার্কেট ঘুরে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই নগীরর বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে দেখা যায় ক্রেতাদের আধিক্য। ছুটির দিন হওয়ায় বাজারে আসেন সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সে অনুযায়ী বাজারে বিক্রেতাদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

সব ধরনের সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম বলে জানায় বিক্রেতারা।

দেশী আলু ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধা কপি ও ফুলকফি ১০-১২ টাকায়, দেশী শসা ২০-২৫ টাকা, গাজর ২০ টাকা এবং টমেটো ৫০ টাকা থেকে কমে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। লাউ ৩৫-৪০ টাকা কেজি । মরিচের দাম অপরিবর্তিত থেকে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় । ডিম গত সপ্তাহের থেকে হালিতে ৪ টাকা বেড়েছে। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায় এবং লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালিতে।

সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়ে গেছে প্রায় ২৫-৩০ টাকা। পোল্ট্রি মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি। শুক্রবারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এছাড়াও সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা , লেয়ার মুুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশী মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির সাপ্লাই কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে মাছের দামও বাড়তি দেখা গেছে। প্রতি কেজি মাছ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বড়তি। টেংরা ৭০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং রুই ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বড় ইলিশ ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি। ছোট ইলিশ ১০০ টাকা কেজিতে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। রুপচাঁদা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

৬ কেজি ওজনের কাতল ৪৮০ টাকা, ৬-৮ কেজির বোয়াল ও চিতল মাছ ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে। মিরকা ও আইড় মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পুরো বাজার ঘুরে দেখা মেলেনি পাঙ্গাস মাছের।

বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা থাকলেও নেই সাপ্লাই নেই। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়, খাসির মাংস ১০০০-১০৫০ টাকা কেজি দরে। হাটে গরুর আমদানি কম থাকায় দাম বেশী বলে জানান মাংস বিক্রেতারা।

তবে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যাবস্থার কারণে ভুক্তভোগী সাধারণ জনগন। তবে নিজেদের আয় না বাড়ায় দিন চলে যাচ্ছে ধুকে ধুকে। এসব বাড়তি দামের জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন ক্রেতারা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট